যুক্তরাষ্ট্রে গতকাল বুধবার একদিনে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে গেছে কয়েকটি রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি। দেখা দিয়েছে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের শঙ্কা। নতুন করে ব্যাপক হারে করোনার বিস্তার বাড়তে থাকায় কয়েকটি রাজ্যে বিধিনিষেধ শিথিলের পদক্ষেপ থেকে সরে এসেছে প্রশাসন। ফের বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বীচ, রেস্টুরেন্ট, বার, নাইট ক্লাবসহ অনেক প্রতিষ্ঠান।
বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য থেকে করোনা বিস্তার রোধে আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার পরই নতুন করে বেড়েছে করোনার বিস্তার। গেলে দুই সপ্তাহেই পেরিয়েছে সংক্রমণের আগের রেকর্ড। যেসব রাজ্যগুলোতে নতুন করে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে সেগুলোর মধ্যে অ্যারিজোনা, ক্যালিফোর্নিয়া, ফ্লরিডা, টেক্সাস, অ্যালাবামা, জর্জিয়া, মিসিসিপি, মিজৌরি, নেভাডা, ওকলাহোমা, সাউথ ক্যারোলাইনা, আইডাহো, টেনেসি এবং ওয়াইওমিং উল্লেখযোগ্য।
সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ক্যালিফোর্নিয়া,টেক্সাস, ফ্লোরিডা ও অ্যারিজোনায় বিধিনিষেধ শিথিল করা থেকে সরে এসেছে স্থানীয় প্রশাসন। অ্যারিজোনা, ক্যালিফোর্নিয়া, ফ্লোরিডা ও টেক্সাস করোনাভাইরাস সংকটের নতুন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।
রোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কয়েক রাজ্যে মহামারি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। এর মধ্যে দেশটির এক-তৃতীয়াংশ রাজ্যে শনাক্ত রোগীর ঊর্ধ্বগতি দেখে উদ্বিগ্ন মার্কিন শীর্ষ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, দেশটিতে প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা সরকারি হিসাবের ১০ গুণ পর্যন্ত হতে পারে। যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে গড়ে প্রতিদিন ১ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
গত কয়েকদিন ধরে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫-৪০ হাজারে ওঠা নামা করলেও বুধবার একদিনেই তা ৫২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, ফ্লোরিডা, ফোনিক্স, অ্যারিজোনা ও টেক্সাসসহ কয়েকটি রাজ্যের হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এখনই করোনার সংক্রমণের গতি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ ও জনগণ স্বাস্থ্য বিধি না মানলে আরো ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুসারে, স্থানীয় সময় বুধবার রাত ৯টা পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৫৩ হাজার জন। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৭ লাখ ৮২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে মারা গেছেন ১ লাখ ৩০ হাজার জন।