বালাগঞ্জ উপজেলার হরিশ্যাম গ্রামের মো. আব্দুল্লাহ (সনজব উল্লাহ) হত্যা মামলার ১নং স্বাক্ষী বদরুল আলমের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। তার নিজ বসতঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় কাচাঘরের বাইর দিক থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ‘প্রাণে মারার উদ্দেশ্যে’ এ হামলা করা হয়েছে বলে বদরুল আলমের পিতা মো. রাজিব উল্লাহ এবং তার পরিবারের লোকজন অভিযোগ জানিয়েছেন। আহত বদরুল আলমকে আজ বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার উরুতে রক্তাক্ত জখম হয়েছে। বালাগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বালাগঞ্জ থানার অফিসার ইন-চার্জ গাজী আতাউর রহমান এ ব্যাপারে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে, কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়নের হরিশ্যাম গ্রামের মো. আব্দুল্লাহ (সনজব উল্লাহ) গত জানুয়ারি মাসে স্থানীয় বিরোধের জের ধরে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এ ব্যাপারে দায়েরকৃত মামলার ১নং স্বাক্ষী বদরুল আলম। বদরুল আলমের ওপর রাতের আঁধারে ঘরের বাইরে থেকে ধারালো অস্ত্র (ছুলফি) দিয়ে হামলার ব্যাপারে তার পিতা মো. রাজিব উল্লাহ এবং নিহত মো. আব্দুল্লাহ (সনজব উল্লাহ)’র স্ত্রী কমরুন্নেছা অভিযোগ জানিয়েছেন, ‘হত্যা মামলার জামিনে থাকা ১নং আসামী আহমদ আলী ও ৩নং আসামী আমরু আলী এবং স্থানীয় নূরুজ্জামান নূর আলী, রুহুল আমিন এবং আজমল আলী এ ঘটনা ঘটিয়েছে’।
এ দিকে বালাগঞ্জ থানা পুলিশ আজ বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। বালাগঞ্জ থানার অফিসার ইন-চার্জ গাজী আতাউর রহমান আলাপকালে এ বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে, এ ব্যাপারে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।
উল্লেখ্য, গত ১জানুয়ারি রাতে স্থানীয় বিরোধের জের ধরে মো. আব্দুল্লাহ (সনজব উল্লাহ) হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এ ঘটনায় গত ৩জানুয়ারি বালাগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা (নম্বর : ০১) দায়ের করা হয়।