যুক্তরাজ্যের কোভিড ক্রান্তিকালে অসহায় অভিবাসীদের নিঃস্বার্থ সহায়তার কারণে ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ আত্মত্যাগী এবং কোমলহৃদয়ের গোলাম মাহবুবুল আলম চৌধুরীকে ব্রিটিশ অ্যাম্পায়ার মেডেল (বিইএম) দিয়ে সম্মানিত
করেছেন ।
গোলাম মাহবুবুল আলম চৌধুরী ২০০৮ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে মেজর হিসেবে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণের পর ২০০৯ সালে তাঁর পরিবারের সাথে যোগ দেয়ার জন্য বিলাতে চলে যান। সেখানে সিকিউরিটি কন্সালটেন্ট পদে কয়েক বছর কাজের পর তিনি ২০১৬ সালে ব্রিটিশ রেড ক্রসে যোগ দেন।
তিনি সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার দেওয়ান বাজার ইউনিয়নের শিওরখাল গ্রামের (পুরান চৌধুরী বাড়ী)-এর মরহুম গোলাম মজনু চৌধুরী (কুটু মিয়া)-এর বড় ছেলে। তাঁর পিতা গোলাম মজনু চৌধুরী পেশাগতভাবে একজন মেরিন ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। দুই সন্তানের জনক গোলাম মাহবুবুল আলম চৌধুরী তাঁর এই প্রাপ্তি বৃটেনের সকল স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য উৎসর্গ করেছেন।
তিনি আশা করেন জাতিগত সংখ্যালঘুরা এ থেকে অনুপ্রেরণা পাবেন এবং অসহায় মানুষের সেবায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন।
তিনি বিশ্বাস করেন, এ ধরনের দৃষ্টান্তে বৃটেনের অভিবাসী এবং আদিবাসীদের মাঝে সম্প্রীতির সেতুবন্ধন গড়ার পাশাপাশি সামাজিক একীভূতকরণেও সহায়ক হবে।
পূর্ণকালীন কর্মব্যস্ততার পাশাপাশি গোলাম মাহবুবুল আলম চৌধুরী একজন ইমার্জেন্সি রেসপন্স সেচ্ছাসেবী। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে তিনি দক্ষিন-পূর্ব ইংল্যান্ডের কোভিড রেসপন্স টিম কোর্ডিনেটর, পোর্টসমাউথ সিটি অব স্যান্কচোয়ারী’র ট্রাস্টি, সাইক্লিং ইউকে’র স্বেচ্ছাসেবী এবং পোর্টসমাউথ সিটি ভিশন পরিচালনা পর্ষদের সদস্য। বিনয়ী এবং সদাব্যস্ত এই কর্মী তাঁর কর্মযজ্ঞের জন্য পরিবার এবং সহকর্মীদের অন প্রেরণা ও ত্যাগের
কথা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরন করেন ।
৫১ বছর বয়সী গোলাম ঈষৎ আবেগতড়িত হয়ে তাঁর পিতা-মাতার উপদেশ – “কর্মেই তোমার পরিচয়, আর মনে রেখো নিঃস্বার্থ কর্মেই রয়েছে পূণ্য” স্মরন করেন।
তিনি বলেন, “অনেক বছর হলো তাঁরা মারা গেছেন কিন্তু আজো যেনো তাঁদের কথাগুলো শুনতে পাই। আমি আশা করি, আমাদের সন্তানরা আমাদের ভালো কাজ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে স্ব স্ব অবস্থান থেকে দেশ-দেশ্বান্তরে মানবতার সেবায় আরো বড় ভূমিকা রাখবে।”