একাদশে তিন পরিবর্তন নিয়ে বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা টেস্ট খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। ইনজুরিতে থাকা সাকিব এবং সাদমানের জায়গায় সৌম্য সরকার ও মোহাম্মদ মিঠুন মাঠে নামেন। চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে অনুজ্জ্বল মোস্তাফিজুর রহমানের জায়গায়ও পরিবর্তন আনা হয়েছে। ফিজের বদলে মাঠে নামিয়ে দেয়া হয় পেসার আবু জায়েদ রাহীকে।
এদিন টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজ দিনের প্রথমভাগটা বাংলাদেশি বোলারদের সহজেই খেলেছেন। প্রথম ২০ ওভারে ওভার প্রতি ৩ দশমিক ৩০ করে রান তুলেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার জন ক্যাম্পাবল ও ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট। ২১ ওভারে ক্যাম্পবেলকে ফেরান তাইজুল। দ্বিতীয় সেশনে কাজের কাজটা করেছেন আবু জায়েদ।
প্রথমে মোসলে ফিরে চাপ বাড়িয়েছেন। পরে চট্টগ্রাম টেস্টের নায়ক কাইল মায়ার্সকেও দাঁড়াতে দেননি ডানহাতি পেসার। তার অফস্ট্যাম্পের বাইরে থাকা বলটি আউট সুইং করে বেরিয়ে যাচ্ছিল। ঠিকভাবে খেলতে না পেরে স্লিপে সৌম্য সরকারের ক্যাচ হয়েছেন মায়ার্স। মাঝখানে উইকেটে জেঁকে বসা ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটকে ফেরান টাইগার বোলার সৌম্য সরকার। ১২২ বল খেলে ৪৭ রান করে ফিরেছেন ব্র্যাথওয়েট। আবু জায়েদ ৪৬ রান খরচায় শিকার করেছেন ২ উইকেট। এছাড়া তাইজুল ২টি ও সৌম্য ১টি উইকেট নিয়েছেন।
মিরপুর টেস্টের প্রথম দিনটা ৫ উইকেটে ২২৩ রান তুলে শেষ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৭৪ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করা ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান এনক্রুমা বোনার বলেছেন, তাঁদের চাওয়া ৩৫০ রান। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩০০ রানের মধ্যেই বেঁধে ফেলতে চান বাংলাদেশের মিডিয়াম পেসার আবু জায়েদ। প্রথম দিনের খেলা শেষে এমন প্রত্যাশার কথায় জানিয়েছেন ২ উইকেট নেওয়া এই পেসার। প্রথম দিন মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে খেলা হয়েছে পুরো ৯০ ওভার। মিরপুরে কোনো টেস্টের প্রথম এক দিনে এর চেয়ে কম রান কখনো হয়নি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ যেমন ভালো করতে পারেনি, বাংলাদেশও নিতে পেরেছে মাত্র ৫ উইকেট। তাই দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনটাকে একটা বাক্যে হয়তো বুঝিয়ে দেওয়া যায়—ঘুম পাড়ানি মাসি পিসি!