শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
Sex Cams

চিকিৎসায় নোবেল পেলেন দুই মার্কিন বিজ্ঞানী



ডেভিড জুলিয়াস ও আরডেম পাটাপৌটিয়ান। ছবি: রয়টার্স

চিকিৎসায় যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন মার্কিন দুই চিকিৎসা বিজ্ঞানী ডেভিড জুলিয়াস ও আরডেম পাটাপৌটিয়ান। তাপমাত্রা ও স্পর্শের অনুভূতির সিরেপ্টর আবিস্কার করার জন্য তারা এই সম্মানে ভূষিত হন। সোমবার (৪ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সুইডেনের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট চিকিৎসা বিজ্ঞানে চলতি বছরের বিজয়ী হিসেবে তাদের নাম ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ডেভিস জুলিয়াস যুক্তরাষ্ট্রের। অন্যজন পাটাপৌটিয়ান লেবাননের বংশোদ্ভূত মার্কিনি। তাপমাত্রা ও স্পর্শ ‘রিসেপ্টর’ আবিষ্কারের জন্য তাদেরকে এই পুরস্কার দেয়া হয়েছে। মানুষ কিভাবে তার স্নায়ু স্পন্দনের মাধ্যমে তাপমাত্রা এবং রক্তচাপ অনুভব করে সেই মেকানিজম আবিষ্কার করেছেন তারা। তাদের এই আবিষ্কারকে সম্মান জানানো হয়েছে এই পুরষ্কারের মাধ্যমে। পুরস্কারপ্রাপ্ত দুই বিজ্ঞানীর একজন জুলিয়াস সান ফ্রান্সিসকোতে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার একজন প্রফেসর। অন্যদিকে ক্যালিফোর্নিয়ায় লা জোলা’র স্ক্রিপস রিসার্সে অবস্থিত হাওয়ার্ড হিউস মেডিকেল ইনস্টিটিউটের একজন প্রফেসর পাটাপৌটিয়ান।

সোমবার নোবেল অ্যাসেম্বলিতে পুরস্কার দেয়ার ঘোষণায় বলা হয়েছে, আমাদের বেঁচে থাকার জন্য গরম, শীত ও স্পর্শের অনুভূতির সক্ষমতা থাকা অত্যাবশ্যক। আমাদের চারপাশের সবকিছুর সঙ্গে আমাদের মিথস্ক্রিয়াকে টিকিয়ে রাখে। ডেভিড জুলিয়াস প্রচলিত মরিচের চেয়ে অধিক তীব্রতা সম্পন্ন ক্যাপসাইসিন ব্যবহার করেছিলেন, যা জ্বলন্ত এক সংবেদনশীলতা সৃষ্টি করে। ত্বকের শেষ প্রান্তে একটি সেন্সরকে শনাক্ত করে, যা তাপমাত্রায় সাড়া দেয়। অন্যদিকে চাপ সংবেদী কোষ ব্যবহার করে সেন্সরের একটি অভিনব শ্রেণি আবিষ্কার করে। যা ত্বক ও অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলোকে যান্ত্রিক উদ্দীপনায় সাড়া দেয়। নোবেল অ্যাসেম্বলি এবং নোবেল কমিটির সেক্রেটারি থমাস পার্লম্যান বলেছেন, এই আবিষ্কার প্রকৃতিক গোপনীয়তাকে উন্মুক্ত করে দিয়েছে। এই আবিষ্কার বলে দিয়েছে কিভাবে এসব উদ্দীপনা স্নায়ুতে সিগন্যালে রূপান্তরিত হয়। এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার।

শেয়ার করুন:

প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

error: Content is protected !!