রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
Sex Cams

আকস্মিক হৃদরোগ দেখা দিলে কিছু করণীয়



মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন (Myocardial infarction/MI) সাধারণত হার্ট অ্যাটাক নামে পরিচিত। হৃৎপিণ্ডের প্রাচীরের মধ্যবর্তী স্তরে, হৃৎপিণ্ডের পেশীগুলির (মায়োকার্ডিয়াম) মধ্যে রক্ত প্রবাহ হ্রাস বা রোধ হওয়ার কারণে হৃদরোগ সংঘটিত হয়। এই পেশীগুলিই হৃৎপিণ্ডের রক্ত পাম্প করার কাজে ব্যবহৃত হয়।

চিকিৎসকরা বলে থাকেন, অপরিমিত খাদ্যাভ্যাস, জীবনাচরণ এবং অনিয়ন্ত্রিত ঘুমের পরিণতিতে হৃদরোগ হয়।

হৃদরোগের বেশ কিছু প্রধান উপসর্গ রয়েছে। এগুলো হলো- প্রচণ্ড দুশ্চিন্তা, বুকে অস্বস্তি, কফ ও শুকনা কাশি, মাথা ঝিমঝিম করা, অবসাদগ্রস্ততা (নারীদের ক্ষেত্রে এটি প্রকট আকার ধারণ করে), বমি বমি ভাব কিংবা ক্ষুধামন্দা, শ্বাসকষ্ট, ঘাম হওয়া, স্ফীতি ও দুর্বলতা। তাছাড়া হার্ট অ্যাটাকের সময় শারীরিক অস্বস্তি প্রকাশ পায়! যেমন বুকে ব্যথা হতে থাকলে তা ঘাড়, চোয়াল, কাঁধ বা বাহুতে ছড়িয়ে পড়তে থাকে।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, হৃদরোগ খুবই সামগ্রিক একটি রোগ। যার মধ্যে অনেকগুলো বিষয় কাজ করে। কিন্তু যেহেতু ইসকেমিক হার্ট ডিজিজ একটি কঠিন রোগ, সে কারণে আমরা রোগটি প্রতিরোধ করার চেষ্টা করি।

আহমেদাবাদের অ্যাপেলো হার্ট ইনস্টিটিউটের সিইও সমীর দানি (cardiologist Dr Sameer Dani, CEO of Ahmedabad’s Apollo CVHF Heart Institute) এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আমরা যখন জন্মগ্রহণ করি, তখন আমাদের ধমনীগুলি স্থিতিস্থাপক এবং রক্ত প্রবাহের পক্ষে উপযুক্ত থাকে। কিন্তু বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসের মত রোগ ‘যম’ হয়ে ওঠে হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের পক্ষে। তখনই হৃৎপিণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে। ধমনির প্রাচীরে ক্রমাগত কোলেস্টেরল জমা হওয়ার কারণে, হৃদপিন্ডের পেশী ভিতরের আস্তরণে ফাটল দেখা যায়। যার ফলে রক্ত জমাট বাঁধে। যে মুহূর্তে ধমনীতে রক্ত সঞ্চালন বাধাপ্রাপ্ত হয়, , তখনই হৃদরোগ সাধিত হয়।

হৃদরোগের কিছু কারণ:
পরিবারে কারো হৃদরোগ থাকলে আপনারও এর ঝুঁকি আছে। তাই পরিবারে কারো ৬০ বছর বয়সের আগে এই অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস থাকলে সতর্ক হওয়া উচিত।

সেক্ষেত্রে বয়স ৩০ পেরোলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। প্রসঙ্গত, আরো কয়েকটি কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে। যেমন-
১. ধূমপান
২. অনিয়ন্ত্রিত বহুমূত্র (ডায়াবেটিস)
৩. উচ্চরক্তচাপ
৪. কোলেস্টেরল বেশি থাকা প্রভৃতি।

আকস্মিক হৃদরোগ দেখা দিলে করণীয়:
১. জরুরি ভিত্তিতে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে।
২. হৃদরোগের পর পরই রোগীকে শক্ত জায়গায় হাত-পা ছড়িয়ে শুইয়ে দিন। পরনের জামা-কাপড় ঢিলা করে দিন।
৩. রোগীর শরীরে বাতাস চলাচলের সব রাস্তা উন্মুক্ত করে দিতে হবে, যাতে রোগী গভীরভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারেন।
৪. হৃদরোগের পর যদি রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে তাকে কৃত্রিম উপায়ে শ্বাস-প্রশ্বাস দিতে হবে।
৫. রোগী বমি করলে তাকে একদিকে কাঁত করে দিন। যাতে সহজেই সে বমি করতে পারে।

সূত্র: ইন্টারনেট

শেয়ার করুন:

প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

error: Content is protected !!