উন্নত জীবনের বুকভরা আশা নিয়ে বৃটেনে গিয়ে এখন চরম বিপাকে পড়েছেন হাজার হাজার বাংলাদেশিরা। নিজের জীবনে সফলতার পাশাপাশি পরিবার পরিজনের মুখে হাসি ফোটানোর স্বপ্ন যেন এখন গুড়েবালি তাদের। খুঁজ নিয়ে জানাগেছে, অনেক ত্যাগ স্বীকার করে বিগত প্রায় তিন বছরে স্টুডেন্ট ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট এবং কেয়ার ভিসায় ইংল্যান্ডে পাড়ি জমানো হাজারো বাংলাদেশির জন্য সে দেশে কর্মসংস্থান এখন যেন সোনার হরিণ।
আলাপকালে কয়েকজন ভুক্তভোগি বাস্তব চিত্র তুলে ধরে বলেন, লন্ডনে আমাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। অনেক ভালো চাকরি ছেড়ে এসেছি। আর এখানে এসে এক কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি রয়েছি। এ লোকের ন্যায় আরও অনেরই একই অবস্থা। তারা পরিচয় আড়াল করে সংবাদ মাধ্যমকে জানান, দেশ থেকে বুক ভরা স্বপ্ন নিয়ে এই দেশে এসেছিলাম। কিন্তু এখন দেখছি এমন স্বপ্ন চারা গজানোর আগেই পিষে মেরে ফেলা উচিত ছিল। পুরো পরিবার আমার দিকে তাকিয়ে। শুধু পরিবার নয়, অধিকাংশ আত্মীয় স্বজনও আমার দিকে তাকিয়ে। তারা মনে করেছেন আমি এখানে টাকা কুড়াচ্ছি। কিন্তু আমি যে কী কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি তারা তা আন্দাজও করতে পারছেন না।
একেতো চাকরি নেই। তারপরও অনেক কষ্ট করে একটি চাকরি পেয়েছি। কিন্তু পেলে কি হবে। দিনরাত পরিশ্রমের পর অল্প কিছু পাউন্ড হাতে পাওয়ার পর নিজেকে খুব অসহায় লাগে। কিন্তু কিছুই করার নেই। মালিককে বেতন বাড়ানোর কথা বললে তিনি কাজ ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন। কাজ হারানোর ভয়ে চুপ থাকি। বর্তমানে বৃটেনে হাজার হাজার মানুষ এমন কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি।
এমন বাস্তব চিত্র প্রত্যক্ষদর্শীদের মধ্যে নজরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগসমূহ ১শ নয় আমি বলবো ২শ ভাগ সত্য। এসব সত্য চিত্র বললে অনেকেই মনে করেন আমরা বৃটেনের নাগরিক তাই তাদের হিংসা করছি। পরে বাস্তব পরিস্থিতিতে পড়ে উপলব্দি করেন বুক চাপা আগুন। বর্তমানে ইংল্যান্ডে এসে অনেকই মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এখানে আত্মীয় স্বজনরা হয়তো একবেলা খাবারের ব্যবস্থ দিতে পারেন। কিন্তু থাকার জায়গা দেয়া অসম্ভব।