মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার ঘনিষ্ঠ মিত্র ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ। শনিবার ওয়াশিংটন ডিসিসহ দেশজুড়ে ১,২০০টিরও বেশি স্থানে হাজার হাজার মানুষ এই বিক্ষোভে অংশ নেয়।
ইলন মাস্কের সরকারি বিভাগ ঢেলে সাজানোর প্রচেষ্টা ও প্রেসিডেন্টের কর্তৃত্ব বৃদ্ধির বিরুদ্ধেই মূলত এই আন্দোলন। আয়োজকরা জানিয়েছে, ন্যাশনাল মলের সামনে ২০ হাজারের বেশি মানুষ জড়ো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিক্ষোভে ১৫০টিরও বেশি অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপ অংশ নিয়েছে, এবং এটি যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্য ছাড়াও কানাডা ও মেক্সিকোতে ছড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
বৃষ্টি ও মেঘলা আবহাওয়ার মধ্যেও আন্দোলনকারীরা রাস্তায় নামেন। নিউ জার্সির প্রিন্সটনের অবসরপ্রাপ্ত বায়োমেডিকেল বিজ্ঞানী টেরি ক্লিন থেকে শুরু করে ওহাইওর ২০ বছর বয়সী তরুণ ইন্টার্ন কাইল পর্যন্ত বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন। টেরি ক্লিন অভিবাসন, শিক্ষা, কর্মী ছাঁটাই ও শুল্ক আরোপসহ বিভিন্ন ইস্যুতে ট্রাম্প প্রশাসনের সমালোচনা করেন।
বিক্ষোভে দেখা যায় কেউ ইউক্রেনের পতাকা, কেউ ফিলিস্তিনের সমর্থনে ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ লেখা পোস্টার ও কেফিয়াহ স্কার্ফ ধারণ করেছেন।
মঞ্চে ডেমোক্রেট নেতারা ট্রাম্পের নীতির কড়া সমালোচনা করেন, বিশেষ করে অর্থনৈতিক নীতি ও অতিরিক্ত শুল্ক ব্যবহারের বিষয়ে।