
জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী জামায়াতের আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশে ইসলাম ও ইসলামি আন্দোলনের বিরুদ্ধে অতীতের কোনো ষড়যন্ত্র সফল হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না। নতুনভাবে দেশে যেভাবে ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারের উত্থান ঘটছে, তা বন্ধ করা জরুরি। আগামী ১৯ জুলাইয়ের জাতীয় মহাসমাবেশ হবে ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের একটি ঐতিহাসিক মহড়া। এই সমাবেশ দেশের রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় পরিবর্তন আনবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সোমবার বিকেলে সিলেট নগরীর আম্বরখানায় সিলেট মহানগরীর বিমানবন্দর থানা জামায়াত আয়োজিত এক প্রচার মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল ইসলাম বলেন, দেশে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার চলে গেলেও ফ্যাসিবাদী মানসিকতা ও আচরণ এখনো অব্যাহত রয়েছে। এই মানসিকতার কারণে দেশ আজ চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিণত হচ্ছে। প্রতিদিনের সংবাদপত্র খুললেই মানুষ খুন, চাঁদাবাজি, হামলা ও মামলা—এসব ভয়াবহ ঘটনার খবর জাতিকে আতঙ্কিত করে তুলছে। চাঁদাবাজির জেরে প্রকাশ্য দিবালোকে পাথর দিয়ে মানুষ খুনের ঘটনা ঘটছে—যা ২৮ অক্টোবরের লগি-বৈঠার নৃশংসতার পুনরাবৃত্তি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, এই ধরনের বর্বরতা আসলে জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে ছাত্র ও সাধারণ মানুষের রক্তের সঙ্গে প্রতারণার শামিল। এ থেকে উত্তরণে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। জামায়াত ঘোষিত ১৯ জুলাইয়ের জাতীয় মহাসমাবেশ সফল করতে সিলেটবাসীকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
ফখরুল ইসলাম বলেন, এই সমাবেশ সফল করতে শহর, গ্রাম, পাড়া-মহল্লায় ব্যাপকভাবে গণসংযোগ চালাতে হবে। জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে সব গণহত্যার বিচার, রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার, ‘জুলাই সনদ’ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন, শহীদ ও আহতদের পরিবারকে পুনর্বাসন, প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতকরণ এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডসহ ৭ দফা দাবি আদায়ে দেশপ্রেমিক জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।
প্রচার মিছিলটি আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান ঘুরে দর্শনদেউরী পয়েন্টে এসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
বিমানবন্দর থানা জামায়াতের আমির শফিকুল আলম মফিকের সভাপতিত্বে এবং সহকারী সেক্রেটারি রেজাউল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন—মহানগর জামায়াতের বায়তুল মাল সেক্রেটারি মুফতী আলী হায়দার, থানা নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল লতিফ, জামায়াত নেতা আব্দুস সালাম, আনোয়ার হোসেন পাঠান এবং শ্রমিক নেতা নাজমুল ইসলাম প্রমুখ।





