
অতিরিক্ত টেনশন কিংবা কাজের চাপে অনেকেই নিজের অজান্তে আঙুল ফোটান। কারও কাছে এটি স্বস্তিদায়ক, আবার কারও কাছে এটি শুধুই একটি অচেতন অভ্যাস। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এই অভ্যাসটি শরীরের জন্য ক্ষতিকর কি না—এ নিয়ে রয়েছে নানা মত।
সম্প্রতি স্বাস্থ্যবিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হেলথলাইন-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
কেন ফোটে আঙুল?
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় ৫৪ শতাংশ মানুষ নিয়মিত বা মাঝে মাঝে আঙুল ফোটান। বিজ্ঞানীদের মতে, আঙুল ফোটানোর সময় অস্থিসন্ধিতে (জয়েন্টে) থাকা তরলের মধ্যে একটি ছোট ফাঁপা জায়গা বা ‘ক্যাভিটি’ তৈরি হয়, যেটি হঠাৎ ভেঙে পড়লে যে শব্দটি শোনা যায়, সেটিই হলো ‘পপ’ বা ‘ক্র্যাক’ শব্দ। এটি হাড় ঘষা লেগে নয়, বরং তরলের পরিবর্তনের ফলেই সৃষ্টি হয়।
আঙুল ফোটানো কি ক্ষতির কারণ?
চিকিৎসাবিজ্ঞানে বলা হচ্ছে, মাঝেমধ্যে আঙুল ফোটানো স্বাভাবিক এবং এতে তেমন ক্ষতি হয় না। এমনকি ৫০ বছর ধরে এক হাতে আঙুল ফোটানো এক চিকিৎসকের গবেষণায় দেখা গেছে—ফোটানো ও না ফোটানো হাতে কোনও পার্থক্য নেই।
তবে নিয়মিত, বিশেষ করে দিনে বহুবার আঙুল ফোটালে অস্থিসন্ধির তরল (Synovial Fluid) হ্রাস পেতে পারে। এর ফলে জয়েন্টে হাড় ঘষার সম্ভাবনা বাড়ে এবং দীর্ঘমেয়াদে আর্থ্রাইটিস বা জয়েন্টের জটিল সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি?
চিকিৎসকদের মতে, আঙুল ফোটানোর সময় যদি ব্যথা অনুভব হয়, আঙুল ফুলে যায়, নড়াচড়ায় অসুবিধা হয় বা জয়েন্ট শক্ত হয়ে যায়—তাহলে এটি কোনো অন্তর্নিহিত রোগের লক্ষণ হতে পারে। যেমন: গাউট, আর্থ্রাইটিস বা জয়েন্ট ইনজুরি।
সতর্কতার লক্ষণ: ১. আঙুলে ব্যথা
২. ফুলে যাওয়া
৩. নড়াতে কষ্ট হওয়া
৪. জয়েন্ট শক্ত হয়ে যাওয়া




