কৃষিক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও ২৭ ব্যক্তি ও ৫ প্রতিষ্ঠানকে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরষ্কার- ১৪২৪ প্রদান করা হয়েছে। রাজধানী ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়াতনে রবিবার (২৭ জুন ২০২১) সকালে এই পুরষ্কার প্রদান করা হয়।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত থেকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে মনোনীতদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন।
এর আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে কৃষি মন্ত্রণালয় হতে প্রকাশিত বঙ্গবন্ধুর কৃষি বিষয়ক ১০০ অমর বাণীর সংকলন বাণী চিরসবুজ ও স্মারকগ্রন্ত্র ‘চিরঞ্জিব’ এর মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।
স্বর্ণপদক প্রাপ্তরা: কৃষি গবেষণায় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের র্ফাম মেশিনারি অ্যান্ড পোস্ট হার্ভেস্ট টেকনোলজি বিভাগ, কৃষি সম্প্রসারণে ঢাকার এম. আনিস উদ-দৌলা ও উপজেলা কৃষি অফিসার তালহা জুবায়ের মাশরুর, কৃষিতে নারী হিসেবে ঢাকার নবাবগঞ্জের মায়া রাণী বাউল এবং বাণিজ্যিক খামারি শ্রেণিতে নারায়নগঞ্জের এস এম শাহজাহান সিরাজ।
রৌপ্যপদক প্রাপ্তরা: উদ্যান বিশেষজ্ঞ খোন্দকার মো. মেসবাহুল ইসলাম, কুষ্টিয়ার মো. বকুল হোসেন, দিনাজপুরের মো. মাহমুদুল হাসান, রংপুরের বৈদ্যনাথ বর্মণ, রংপুরের মর্জিনা খাতুন, নাটোরের রুবিনা খাতুন, খুলনার জীবনানন্দ রায়, বারির কর্মকর্তা ড. মো. ওমর আলী ও মসলা গবেষণা কেন্দ্রের কর্মকর্তা ড. কে এম খালেকুজ্জামান।
ব্রোঞ্জ পদক প্রাপ্তরা: সিলেটের মো. জাবের হোসেন, গাজীপুরের মো. রমজান আলী, ঝিনাইদহের মনোয়ারা বেগম, ঢাকার রাজিয়া সুলতানা, কুমিল্লার মনজুর হোসেন, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার মো. আবু নাছের, নোয়াখালীর মো. সাহেদুর রহমান, পাবনার মো. আনিছুর রহমান, বগুড়ার মো. হামিদুল ইসলাম, ময়মনসিংহের নিতাই চন্দ্র রায়, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাইদুল ইসলাম, ফরিদপুরের বক্তার হোসেন খান, ঝিনাইদহ কৃষি প্রশিক্ষণ ইসস্টিটিউট, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমেশ চন্দ্র ষোষ, সিরাজগঞ্জের মাস্টার নার্সারী অ্যান্ড অ্যাফরেস্টশন, সিলেটের আলীম ইন্ড্রাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং সাতক্ষীরার পাকুড়িয়া সিআইজি (ফসল) কৃষি সমবায় সমিতিকে এ পুরষ্কারে ভূষিত করা হয়।
মৎস্য, প্রাণিসম্পদ ও কৃষি উৎপাদন, বিক্রয় ও বিপণন প্রতিষ্ঠান আনোয়ারা এগ্রো ভিশন- এর পক্ষথেকে বিজয়ীদের অভিনন্দন জানানো হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্তি সংগ্রামে তাদের এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।