বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের পঞ্চম আসর এটি। ১ থেকে ৬ অক্টোবর সিলেটে গ্রুপ পর্বের খেলা হবে এবং ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে হবে ফাইনাল। ফাইনাল ম্যাচে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে। টুর্নামেন্টে ‘বি’ গ্রুপে থাকা বাংলাদেশের দুই প্রতিপক্ষ লাওস ও ফিলিপাইন। উদ্বোধনী দিনে মাঠে নামবে বাংলাদেশ ও লাওস। ‘এ’ গ্রুপের দল তিনটি হচ্ছে- ফিলিস্তিন, তাজিকিস্তান ও বর্তমান চ্যাম্পিয়ন নেপাল।
ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বেসামরিক ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী শাহজাহান কামাল। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন, সিনিয়র সহসভাপতি সালাম মুর্শেদি ও পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান কে-স্পোর্টসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহাদ করিম। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী ও মডেল জয়া আহসান এবং ক্লাব ফুটবলের কর্ণধারসহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশ নিজেদের শেষ ম্যাচে ৫ অক্টোবর ফিলিপাইনের মোকাবেলা করবে। গ্রুপের ছয়টি ম্যাচই হবে সিলেটে। ৯ এবং ১০ অক্টোবর কক্সবাজারে হবে দুটি সেমিফাইনাল। ১২ অক্টোবর ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে হবে ফাইনাল ম্যাচ।
বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের জন্য শুক্রবার সকাল থেকে অনুশীলন শুরু করেছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে ছিল ফুটবলারদের রিপোর্টিং। রাজধানীর লা ভিঞ্চি হোটেলে হয়েছে ফুটবলারদের আবাসিক ক্যাম্প। দলের ইংলিশ কোচ জেমি ডে ক্যাম্পে ডেকেছেন ৩১ ফুটবলার। গত ৮ সেপ্টেম্বর নেপালের কাছে হেরে সাফ সুজুকি কাপ থেকে বিদায়ের পরদিনই খেলোয়াড়দের ছুটি দিয়ে নিজেও দেশে চলে গিয়েছিলেন কোচ জেমি ডে। বৃহস্পতিবার তিনিও ঢাকায় ফিরেছেন। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুক্রবার সকাল ১০টায় প্রথম অনুশীলনে নামে ফুটবলাররা। ঢাকায় টানা ৮ দিন অনুশীলন করে ২৯ সেপ্টেম্বর সিলেট যাবেন জেমি ডের শিষ্যরা।