ছবি:-সংগৃহীত
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার আলোচনা শেষ হয়েছে। এখন চূড়ান্ত হচ্ছে ‘জুলাই জাতীয় সনদ’। কমিশন জানিয়েছে, প্রথম ও দ্বিতীয় দফার আলোচনায় অর্জিত ঐকমত্য দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে এবং তাদের পরামর্শ নিয়ে শিগগিরই চূড়ান্ত রূপ দেওয়া হবে। এরপর রাজনৈতিক দলগুলোর স্বাক্ষর নেওয়া হবে।
কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, কয়েক দিনের মধ্যেই একটি পূর্ণাঙ্গ সনদ প্রণয়ন করে দলগুলোর কাছে পাঠানো হবে। বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়েও আলোচনা হতে পারে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ আশা প্রকাশ করেছেন, দলগুলো দ্রুত সনদে স্বাক্ষর করবে এবং দুই বছরের মধ্যে প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে। তিনি জানান, প্রয়োজনে সংবিধান ও আইন সংশোধনের মাধ্যমেও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা হবে।
তবে জামায়াতে ইসলামী এবং এনসিপির মতো দলগুলো সনদের আইনি ভিত্তি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের মতে, সনদ কার্যকর করতে আইনি কাঠামো, অধ্যাদেশ কিংবা গণভোটের মতো পদ্ধতির প্রয়োজন রয়েছে। অন্যথায় পুরো প্রক্রিয়া দুর্বল হয়ে পড়বে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশও সংসদে অনুপস্থিত সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) ইস্যু আলোচনায় না থাকায় অসন্তোষ জানিয়েছে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ছয়টি পৃথক কমিশনের ১৬৬টি সুপারিশ নিয়ে দুটি ধাপে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে। দ্বিতীয় দফার ২৩ দিনের সংলাপে ১৯টি মৌলিক সংস্কার প্রস্তাবে ঐকমত্য গঠিত হয়, যার মধ্যে ৮টিতে সব দল একমত হয়েছে, বাকিগুলোতে আংশিক ভিন্নমত রয়েছে।
