শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
Sex Cams

আজকাল ডায়াবেটিস একেবারে পরিচিত ও সাধারণ একটি রোগে পরিণত হয়েছে



 এর মধ্যে টাইপ-টু ডায়াবেটিস সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। আমাদের দ্রুতগতির জীবনধারা, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব এবং মানসিক চাপ—এসবই ডায়াবেটিসের ঝুঁকি অনেক বেড়ে দিচ্ছে।

ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ, যা একবার হলে দীর্ঘ সময় ধরে শরীরের নানা রকম জটিলতা তৈরি করে। শরীরে ইনসুলিন সঠিকভাবে কাজ না করলে রক্তে চিনি বা গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়। এই অতিরিক্ত গ্লুকোজ থেকে হতে পারে হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনির সমস্যা, চোখের জটিলতা এমনকি স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যাও।

অনেকেই জানেন না, ঘুমের সময়ও ডায়াবেটিসের কিছু লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই লক্ষণগুলো অবহেলা করা উচিত নয়। ভারতের একটি সংবাদমাধ্যম ঘুমের সময় দেখা দেওয়া এমন কিছু লক্ষণের কথা জানিয়েছে, যা ডায়াবেটিসের ইঙ্গিত দিতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, ঘুমের সময় ডায়াবেটিসের ৫টি লক্ষণ কী কী।

ঘুমের সময় ডায়াবেটিসের ৫টি সতর্কতামূলক লক্ষণ

১. ঘুমিয়েও ক্লান্ত অনুভব করা

যথেষ্ট সময় ঘুমানোর পরও যদি শরীর একেবারে দুর্বল ও ক্লান্ত লাগে, তাহলে এটি ডায়াবেটিসের একটি ইঙ্গিত হতে পারে। কারণ এই রোগ শরীরের শক্তি উৎপাদনের ক্ষমতা হ্রাস করে দেয়।

২. ঘুমের সময় অতিরিক্ত ঘাম হওয়া

রাতের বেলা যদি অস্বাভাবিকভাবে ঘাম হয়, তাহলে সেটি রক্তে সুগার কমে যাওয়ার (হাইপোগ্লাইসেমিয়া) লক্ষণ হতে পারে। এর কারণে ঘুম বারবার ভেঙে যাওয়াও স্বাভাবিক।

৩. রাতে ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া

ডায়াবেটিস আক্রান্তদের ক্ষেত্রে শরীর অতিরিক্ত গ্লুকোজ প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে দিতে চায়, ফলে ঘুমের মধ্যে বারবার টয়লেটে যেতে হয়।

৪. ঘুমের সময় তীব্র পিপাসা লাগা

প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়লে শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ে। তখন মুখ শুকিয়ে যায় এবং প্রচণ্ড পিপাসা লাগে—এমনকি ঘুমের মধ্যেও এ অনুভূতি হতে পারে।

৫. ঘুমের মধ্যে হাত-পা ঝিমঝিম বা অসাড় হয়ে যাওয়া

অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসে ধীরে ধীরে নার্ভ বা স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে ঘুমের সময় হাত-পা ঝিমঝিম করতে পারে বা অসাড় মনে হতে পারে।

করণীয় কী?

আপনার যদি নিয়মিত এই লক্ষণগুলো দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে দ্রুত রক্তে গ্লুকোজ পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া উচিত।

শুরুতেই সচেতন হতে পারলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। এর জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ, নিয়মিত ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম এবং মানসিক চাপ কমানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এসব অভ্যাস আপনাকে সুস্থ থাকতে সহায়তা করবে।

 

শেয়ার করুন:

প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন