
যে খেয়েছে কেওড়া ঝোল, সে ভুলেছে মায়ের কোল বাঁচতে হলে বেশিদিন, হাটুন প্রতিদিন গোলাপেরও কাঁটা আছে ঘুমন্ত শৃগালের মুরগী জোটে না ঘোড়া দেখলে খোঁড়া আচারে বাড়া, বিচারে এড়া এক কাঠি বাজে না কপাল গুণে, গোপাল ঠাকুর নুন খাই যার, গুণ গাই তার বোকার হাসি দশবার ভাই ভাই, ঠাঁই ঠাঁই ভরা কলসি নড়ে না শূন্য কলসি বাজে ভালো খালি পাতিল বাজে বেশি সঙ্গ দেখে লোক চেনা যায় শেষ রক্ষাই রক্ষা আদা শুকালেও ঝাল যায় না এক হাতে তালি বাজে না কপালের লিখন না যায় খন্ডন গোড়া কেটে আগায় জল সেচ দিয়ে করে চাষ, তার সব্জি বার মাস রোদে ধান, ছায়ায় পান কাজ নাই, কষ্ট নাই মনে মনে লঙ্কা ভাগ গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল ধরি মাছ, না ছুঁই পানি বিমাতা বিষের ঘর বানরের গলায় মুক্তার মালা হাটে হাড়ি ভাঙ্গা হাত ঝাড়লে পর্বত বাঁশের চেয়ে কঞ্চি বড় গায়ে মানে না আপনি মোড়ল আউশ ধানের চাষ, লাগে তিন মাস দশের লাঠি, একের বোঝা দুধের সাধ, ঘোলে মিঠে না বাশের ধারে হলুদ দিলে, খনা বলে দ্বিগুণ ফলে বিপদে বন্ধুর পরিচয় বিপর্যয় অভিশাপ নয়, আশীর্বাদ দিন থাকতে বাধে আইল, তবে খায় বহু সাইল কামলা, আপনি সামলা অতি দর্পে হত লঙ্কা অতি আদরে সন্তান নষ্ট বেচা গরুর চর্বি বেশি গিন্নির পাপে গেরস্থ নষ্ট এক চাঁদে জগৎ আলো এক মুখে তিন কথা, শুনে লাগে মনে ব্যাথা ঘোল, কুল, কলা, তিনে নাশে গলা কুকুরের পেটে ঘি সহে না ক্ষমাও পরম ধর্ম স্পষ্ট কথায় কষ্ট নাই সব ঝিনুকে মুক্তা নাই মারের চোটে ভূত পালায় যত দোষ নন্দ ঘোষ রতনে রতন চিনে রান্œা খেতে, কান্না পায় যে সহে, সে রহে গিন্নির উপর গিন্নিপনা, ভাঙ্গা পিঁড়েয় আল্পনা কিসে আর কিসে, ধানে আর তুষে নড়তে পারে না, কামান ঘাড়ে না পড়েই পন্ডিত মরণের সময় অসময় নাই নদীর জল ঘোলাও ভালো, জাতের মেয়ে কালোও ভালো উঠান ভরা লাউ শশা, ঘরে তার লক্ষ্মীর দশা ব্যর্থতা সাফল্যেরই ভিত্তি ভূমি বেশি আড়ম্বরে কাজ হয় না আপন কখনো পর হয় না আগাছার বাড় বেশি শিয়ালের কাছে মুরগী বর্গা বিন্দু বিন্দু বৃষ্টি, পুকুরের সৃষ্টি থাকে যদি বন্ধুর মন, গাঙ্গ পার হতে কতোক্ষণ পান পোত শ্রাবণে, খেয়ে না ফুরায় রাবণে মাঘে মুখি, ফাল্গুনে চুখি, চৈতে লতা, বৈশাখে পাতা পরের ধনে পোদ্দারী পাপে ছাড়ে না বাপ শ্রীবুদ্ধি প্রলয়ঙ্করী অতি বড় রূপসীও না পায় বর, অতি বড় ঘরণীও না পায় ঘর সব কাজে যার হুশ, তারে কয় মানুষ যত পাই, তত খাই রাই কুড়িয়ে বেল নুন ছাড়া ঘি মাটি মানুষ অভ্যাসের দাস আপন ঘরে সবাই রাজা শেষ রক্ষাই রক্ষা বিধির লিখন, না যায় খন্ডন পথ চলবে জেনে, কড়ি নেবে গুণে সূর্যের চেয়ে বালু গরম যে সহে, সে রহে।
সংগ্রাহক: কৃষি, হোমিওপ্যাথি ও লোকসাহিত্য অনুরাগী।



