রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এইচএসসিতে গড় পাস ৬৬.৬৪% : সিলেটে পাশের হার ৬২.১১%, জিপিএ-৫ বেড়েছে



ফাইল ছবি

এবার উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় ১০ বোর্ডে গড় পাসের হার ৬৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২৯ হাজার ২৬২ জন শিক্ষার্থী।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফলের অনুলিপি তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ও শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানরা। সকাল ১০টার পর গণভবনে এক অনুষ্ঠানে তাঁরা ফলাফলের এই অনুলিপি তুলে দেন।

গত ২ এপ্রিল এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। তত্ত্বীয় পরীক্ষা চলে গত ১৩ মে পর্যন্ত। আর ১৪ থেকে ২৩ মের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা। এ বছর পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ১৩ লাখ ১১ হাজার ৪৫৭ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ৬ লাখ ৯২ হাজার ৭৩০ জন ছাত্র ও ৬ লাখ ১৮ হাজার ৭২৭ জন ছাত্রী।

এইচএসসিতে আটটি সাধারণ বোর্ডের অধীনে অংশ নেয় ১০ লাখ ৯২ হাজার ৬০৭ শিক্ষার্থী। আর মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে আলিমে ১ লাখ ১২৭ জন, কারিগরি বোর্ডের অধীনে এইচএসসি (বিএম)-এ ১ লাখ ১৭ হাজার ৭৫৪ জন ও ডিপ্লোমা ইন বিজনেস স্টাডিজে (ডিআইবিএস) পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৯৬৯।

সিলেট বোর্ড

এবার এইচএসসি পরীক্ষায় সিলেটে পাশের হার ৬২ দশমিক ১১ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮৭৩ জন শিক্ষার্থী। দুপুরে সিলেট শিক্ষা বোর্ডে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. কবির আহমদ জানিয়েছেন- এবার পাশের হার কমলেও মেধাবীদের সংখ্যা বেড়েছে। গতবার জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৭০০ জন। এবার আরো বেড়েছে। তিনি বলেন- মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়ানোই এখন শিক্ষাবোর্ডের টার্গেট।

এইচএসসি পরীক্ষায় কাঙ্ক্ষিত ফল পেয়ে শিক্ষককে মিষ্টি খাওয়াচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। সরকারি মহিলা কলেজ, সিলেট, ১৯ জুলাই। ছবি: আনিস মাহমুদ

গতবার সিলেট শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ছিল ৭২ দশমিক ৩ শতাংশ। এদিকে- ফলাফলে তবে মোট পরীক্ষার্থী ও পাসের হারের ক্ষেত্রে ছেলেদের চেয়ে সিলেটের মেয়েরা এগিয়ে আছে। সিলেট শিক্ষাবোর্ড থেকে এবার মোট ৭১ হাজার ৪২ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহন করে। এরমধ্যে পাস করেছে ৪৪ হাজার ১শ’ ২৭ জন।

অংশগ্রহনকারীদের মধ্যে ছাত্র ছিল ৩২ হাজার ৮শ’ ৮৫ জন। পাস করেছে ১৯ হাজার ১শ’ ৮৬ জন। পাসের হার ৫৮ দশমিক ৯২। ছাত্রী ছিল ৩৮ হাজার ৭শ’ ৯০ জন। পাস করেছে ২৪ হাজার ৯শ’ ৪১ জন। পাসের হার ৬৪ দশমিক ৮১। এছাড়া দুটি কলেজে কোনো শিক্ষার্থী কেউ পাশ করতে পারেনি। এর মধ্যে রয়েছে উত্তর সুরমা আছমত উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ ছাতক, নুরুন্নেছা খাতুন চৌধুরী কলেজ কমলগঞ্জ।

পরীক্ষার্থীরা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট এবং সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল সংগ্রহ করতে পারবে।

এদিকে, বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, আমরা মানসম্মত শিক্ষার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, তাই পাসের হার কমলেও সকল খাতা যাতে সঠিকভাবে মূল্যায়ন হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। খাতা সঠিকভাবে মূল্যায়ন হবে- এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।

শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, বিজ্ঞান শিক্ষা নিয়ে আমাদের মধ্যে উদ্বেগ ছিল, অথচ বিজ্ঞানে এবার গত বারের তুলনায় ২৪ হাজার ৫৫১ জন পরীক্ষার্থী বেশি অংশগ্রহণ করে এবং গতবারের চেয়ে ১০ হাজার ৮৫৮ জন বেশি পাস করেছে। বরাবরের মতো এবারও মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীরা এবার ৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ বেশি পাস করেছে। পাসের হার কমলেও পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।

তিনি জানান, কেউ পাস করেনি এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা এবার ৫৫টি। গত বছর ৭২টি প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থী ফেল করেছিল। এবার শতভাগ পাস করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৪০০টি। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ৫৩২টি।

বিদেশি সাতটি কেন্দ্রে এবার এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ২৮৫ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে তাদের মধ্যে পাস করেছে ২৬৩ জন, পাসের হার ৯২ দশমিক ২৮, তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬ জন পরীক্ষার্থী।

 

শেয়ার করুন:

প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

error: Content is protected !!