যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট ভবনের সামনে থাকা নিরাপত্তা বেষ্টনীর সঙ্গে একটি গাড়ির ধাক্কায় বেশ কয়েকজন পথচারী আহত হয়েছেন। লন্ডন মেট্রোপলিট্রন পুলিশকে উদ্ধৃত করে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, এ ঘটনায় গাড়ির চালককে আটক করা হয়েছে। স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডকে উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, এটি কোনও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছিল কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যকে উদ্ধৃত করে আরেক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ বলছে, ঘটনাটি ইচ্ছাকৃত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
জানা যায়, ১৪ আগস্ট (মঙ্গলবার) একটি গাড়ি হাউস অব পার্লামেন্টের বেষ্টনীতে ধাক্কা খায়। এ ঘটনায় কেউ নিহত না হলেও বেশ কয়েকজন আহত হয়। স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আজ (মঙ্গলবার) ৭টা ৩৭ মিনিটের দিকে হাউস অব পার্লামেন্টের বাইরে নিরাপত্তা বেষ্টনীর সঙ্গে একটি গাড়ি ধাক্কা খেয়েছে। ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ সদস্যরা গাড়ির চালককে আটক করেছে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন পথচারী আহত হয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলেই আছেন। বিস্তারিত তথ্য হাতে পাওয়ামাত্রই আপনাদের জানানো হবে।’
প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃত করে আরেক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ জানায়, এ ঘনাকে ইচ্ছেকৃত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, গাড়িটি ঘণ্টায় ৫০ মাইল বেগে চলছিলো। এওয়ালিনা ওচাব নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, বিধ্বস্ত হওয়া গাড়িটির সামনে কোনও রেজিস্ট্রেশন প্লেট লাগানো ছিল না। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি যে গতিতে গিয়ে গাড়িটি নিরাপত্তা বেষ্টনীতে ধাক্কা খেয়েছে তা ইচ্ছেকৃত ছিল। আমি রাস্তার অপর পাশ দিয়ে হাঁটছিলাম। তখন কিছু শব্দ শুনতে পেলাম এবং বুঝলাম কেউ চিৎকার করছে। আমি তাকালাম এবং দেখলাম তীব্র গতিতে রূপালি রঙের একটি গাড়ি বেষ্টনীর দিকে যাচ্ছে এমনকি ফুটপাথেও উঠে গেছে। যে লোকটি গাড়ি চালাচ্ছিলেন, তিনি গাড়ি থেকে বের হয়ে আসেননি।’
পার্লামেন্ট স্কয়ার, মিলব্যাংক ও ভিক্টোরিয়া টাওয়ার গার্ডেনস এর আশেপাশের রাস্তাগুলো দীর্ঘ সময় ঘেরাও করে রাখে পুলিশ। ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত করছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের মার্চে খালিদ মাসুদ নামের এক ব্যক্তি ওয়েস্টমিনস্টার ব্রিজে গাড়ি চালিয়ে হামলা করার পর থেকে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেদিন খালিদ মাসুদ গাড়ি নিয়ে ভিড়ের মধ্যে হামলা চালিয়ে চারজনকে হত্যা করে। পরে গাড়ি থেকে নেমে ছুরি দিয়ে নির্বিচারি হামলার এক পর্যায়ে পুলিশের গুলিতে সে মারা যায়।