সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চল্লিশের বিএনপি এই প্রথম শীর্ষ নেতৃত্বকে ছাড়া প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছে



বিএনপি অফিসে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি : ইন্টারনেট

বাংলাদেশে অন্যতম প্রধান দল বিএনপি তার ৪০ বছরে এই প্রথম শীর্ষ নেতৃত্বকে ছাড়া প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছে। দলটির শীর্ষ নেত্রী খালেদা জিয়া জেলে রয়েছেন এবং দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা তারেক রহমান দেশে ফিরতে পারছেন না। নির্বাচনের কয়েক মাস আগে এই পরিস্থিতিতে বিএনপি সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

বিএনপির সিনিয়র নেতারা বলছেন, কঠিন সময়েও তাদের কেউ দল ছেড়ে যায়নি বা দলে বিভক্তি আসেনি। তবে ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন বিএনপি বয়কট করেছিল। এখন আবার আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলে দলটি আরও সংকটে পড়তে পারে বলে বিশ্লেষকদের অনেকে বলছেন।

৪০ বছরে এসে বিএনপি এবার নির্বাচনে অংশ নেয়া, না নেয়ার প্রশ্নে টানাপোড়েনে পড়েছে, দলটির নেতা কর্মীদেরও অনেকে তা মনে করছেন। দলটি ১২ বছর ধরে রাষ্ট্রক্ষমতার বাইরে রয়েছে। এমনকি ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন বয়কট করে পাঁচ বছর ধরে বিএনপি সংসদেও নেই।

প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রক্ষমতায় এসে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। জন্মের পর থেকে দলটি এত দীর্ঘ সময় ক্ষমতার বাইরে থাকেনি। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া একটি দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে জেলে রয়েছেন প্রায় সাত মাস ধরে।

দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। ২০০৪ সালের ২১শে অগাস্টে গ্রেনেড হামলায় কমপক্ষে ২২জন নিহত হওয়ার ঘটনার এই মামলায় বিচার কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে এসেছে।

এমন প্রেক্ষাপটে জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি বড় সংকটে পড়েছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও বলেছেন, তাদের দলকে এখন সবচেয়ে কঠিন সময় পার করতে হচ্ছে।

“ইতিপূর্বে যতগুলো ক্রাইসিস হয়েছে, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃত্যু, পরবর্তীকালে ক্ষমতা থেকে দূরে সরে যাওয়া। পরবর্তীকালে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আবার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে আসা।

ওয়ান ইলেভেনের মধ্যে আবার গ্রেফতার হওয়া। তারপরও আজকে এই সংকটটা আমার কাছে মনে হয় আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় সংকট।”

মি: আলমগীর আরও বলেছেন, “এর মধ্যে নির্বাচন এসে গেছে। আমাদের নেত্রীকে জেলে রাখা হয়েছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন দেশের বাইরে। আমাদের অসংখ্য নেতা-কর্মী জেলে। মামলা মোকদ্দমা আমাদের সকলের বিরুদ্ধে রযেছে।”

শেয়ার করুন:

প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

error: Content is protected !!