গত মাসে ভুটানের এই চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামেই অনূর্ধ্ব ১৬ সাফে পাকিস্তানকে ১৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। এক মাসের ব্যবধানে অনূর্ধ্ব ১৮ সাফে বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তান হজম করল ১৭ গোল। বয়স বেড়েছে দু ধাপ আর গোল বেড়েছে তিনটি। যার ফলে মেয়েদের ফুটবলে বাংলাদেশের এটাই সবচেয়ে বড় জয়। প্রথমার্ধে ৮ গোলের পর দ্বিতীয়ার্ধে হয়েছে ৯ গোল। স্ট্রাইকার স্বপ্নার সাত গোলের ম্যাচে চার গোল করেছেন উইঙ্গার মার্জিয়া, ডিফেন্ডার শিউলি আজিম করেছেন দু গোল। একটি করে গোল করেছেন মৌসুমি, আঁখি খাতুন, কৃষ্ণা রানী সরকার ও তহুরা খাতুন।
স্কোর লাইনের ডিজিট ১৭-০। এই ম্যাচ নিয়ে কাটাছেঁড়া বিশ্লেষণের বিন্দুমাত্র প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। ‘নবীন’ পাকিস্তানকে একেবারেই নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছে মার্জিয়া, সিরাত জাহান স্বপ্নারা। পাকিস্তানের মেয়েরা একবারের জন্যও মাথা তুলে বাংলাদেশের গোল পোস্টের দিকে তাকাতে পারেনি। গোল পোস্ট তো অনেক দূরের বাতিঘর। মাঝমাঠও পার হতে পারেনি তাঁরা। ফলে যারা সরাসরি খেলাটি দেখেছেন, তাঁদের কাছে বাংলাদেশের গোলরক্ষকের নাম অজানাই থাকার কথা। সুতরাং বলতেই হচ্ছে আজ বাংলাদেশের গোলরক্ষক ছিলেন রুপনা চাকমা।
পাকিস্তানের মাথার ওপর ছিল ফিফার দেওয়া তিন বছরের নিষেধাজ্ঞা। সেটা কাটিয়ে মাত্র কয়েক মাস আগে ফুটবলে ফিরেছে পাকিস্তান। এরপর দ্বিতীয়বার এসেছে আন্তর্জাতিক আসরে। সেই তুলনায় বাংলাদেশের এই মেয়েরা গত চার বছর ধরে দুর্দান্ত সাফল্য পাচ্ছে বয়সভিত্তিক আন্তর্জাতিক বিভিন্ন টুর্নামেন্টে। অভিজ্ঞতায়ও যোজন যোজন এগিয়ে থাকা স্বপ্নারা যে জয় নিয়েই টুর্নামেন্ট শুরু করবে সেটা অনুমিতই ছিল। শুধু দেখার অপেক্ষা ছিল কত ব্যবধানে জেতে বাংলাদেশ। লাল-সবুজ জার্সিধারীদের কাছে আজ ১৭ গোল খাওয়ার আগের ম্যাচে নেপালের কাছে ১২ গোল খেয়েছিল পাকিস্তান। দু ম্যাচে ২৯ গোল হজম করে পাকিস্তানের বিদায়। আর এক ম্যাচ হাতে রেখে সেমিফাইনালে বাংলাদেশ ও নেপাল। আগামী পরশু গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইয়ে নামবে দুটি দল।
বাংলাদেশের গোলদাতা ও সময়: ইসরাত জাহান স্বপ্না (১০,৩০, ৪৪,৬২, ৭৩,৭৬ ও ৯০ মিনিট) ; মার্জিয়া (৭,১৩, ২২ ও ৭১ মিনিট) ; শিউলি আজিম (৩২ ও ৬৯ মিনিট) ; মিসরাত জাহান মৌসুমি (৩৬ মিনিট) ; আঁখি খাতুন (৫৮ মিনিট) ; কৃষ্ণা রানী (৭৪ মিনিট) ; তহুরা খাতুন ৮৭ মিনিট।