বালাগঞ্জের বিভিন্নস্থানে ককটেল বিস্ফোরণের সংবাদ পাওয়া গেছে। গত বুধবার (১০অক্টোবর) দিবাগত রাতে সাড়ে ৮টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত এসব বিস্ফোরণ ঘটেছে । অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ওসমানীনগর সার্কেল) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, বালাগঞ্জ থানার অফিসার ইন-চার্জ এসএম জালাল উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বালাগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়নের আজিজপুর বাজার, দেওয়ান বাজার ইউনিয়নের মোরারবাজার এবং স্থানীয় সিরাজপুর গ্রামে এসব ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। রাতের আধারে সংঘটিত এসব বিস্ফোরণের সাথে কে বা কারা জড়িত তা চিহ্নিত করা যায়নি। তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ গ্রেনেড বিস্ফোরণ মামলায় রায়ের জের ধরে এসব ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানিয়েছেন, পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়নের স্থানীয় আজিজপুর বাজারে রাত পৌনে ৯টার দিকে প্রায় একই সময়ে পৃথক ২টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটেছে। এছাড়া রাত সাড়ে ৮টায় দেওয়ান বাজার ইউনিয়নের মোরারবাজারে মারহাবা এণ্টারপ্রাইজের সামনে এবং রাত ১০টায় বাজারের পার্শ্ববর্তী যুবলীগ নেতা আব্দুল্লাহ রহমানের বাড়ির সামনে পৃথক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। এছাড়া রাত সাড়ে ৮টায় দেওয়ান বাজার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির খসরুর সিরাজপুর গ্রামস্থ বাসভবনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটেছে। এসব ককটেল বিস্ফোরণে কোন হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও এলাকায় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
দেওয়ান বাজার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির খসরু, পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমির হোসেন নুরু, সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ আহমদ মঞ্জু,আওয়ামীলীগ নেতা ইছরাক আলী,সাইস্তা মিয়া,দেওয়ানবাজার ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি কয়েছুল আলম কয়েছ, যুবলীগ নেতা আব্দুল্লাহ রহমান, আবুল কালাম,জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি এমরুল হক, জাকির হোসেল ও রাজু আহমদ, শাহিন আলম খান, মিরাজ,অনিকপ্রমুখ এসব ককটেল বিস্ফোরণের বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন।
এদিকে রাত সাড়ে ১০টায় সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ওসমানীনগর সার্কেল) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, বালাগঞ্জ থানার অফিসার ইন-চার্জ এসএম জালাল উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ওসমানীনগর সার্কেল) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ঘটনার বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন এ ব্যাপারে তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।