নিহতদের মধ্যে ২১ জনই অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বাসিন্দা। বাকিরা প্রাণ হারান অবরুদ্ধ পশ্চিমতীরে। পিএলও জানায়, ইসরাইলি বাহিনী ৩৫ মরদেহ আটকে রেখেছে যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুসারে নিষিদ্ধ।
এই একমাসে গ্রেফতার হয়েছে ৪৫০ জন ফিলিস্তিনি। এরমধ্যে ১২ জন গাজা থেকে। তাজা গুলি ও টিয়ার গ্যাসে আহত হয়েছেন ৮৫০ জন। তাদের মধ্যে ৪৯০ জন গাজা উপত্যকার এবং প্রায় ৩৬০ জন পশ্চিমতীর ও জেরুজালেম থেকে। এছাড়া আক্রমণের শিকার হয়েছেন সাংবাদিকও। এসময় নতুন ৬৪০টি বসতি নির্মাণেরও অনুমতি দিয়েছে ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ।
১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে ইসরাইলি ফিলিস্তিনসহ অন্যান্য আরব রাষ্ট্রের একটা বড় অংশ দখল করে নেয়। পরে আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী ইসরায়েলের সীমানা নির্ধারণ করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। তবে এই দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান আজ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি।
ফিলিস্তিনিরা চায় পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করা হোক। আর ইসরায়েলের দাবি,জেরুজালেম অবিভাজ্য। ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংকট প্রশ্নে দীর্ঘদিন ধরেই স্বতন্ত্র দুইটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার নীতির পক্ষে সমর্থন জানিয়ে আসছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে সেই নীতি থেকে সরে এসে ২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে মার্কিন স্বীকৃতির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের ইসরাইলি দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেম সরিয়ে নেওয়া হয়।