রবিবার সন্ধ্যা ৮টার দিকে বেইলি রোডের বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে এই সিদ্ধান্ত জানান জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, নজরুল ইসলাম খান, আ স ম আবদুর রব, জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ড. কামাল বলেন, আমাদের প্রার্থীদের বেশিরভাগই ভোটের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করছে। তাই আমরাও সার্বিকভাবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করছি। এবং নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহবান জানাচ্ছি, একটি নির্দলীয় সরকার গঠন করে তার অধীনে পুনরায় ভোট গ্রহণ করা হোক।
তিনি বলেন, ‘দেশের প্রায় সব আসন থেকেই একই রকম ভোট ডাকাতির খবর এসেছিল। এই পর্যন্ত বিভিন্ন দলের শতাধিক প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন। এই পরিস্থিতিতে আমরা নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, অবিলম্বে এই প্রহসনের নির্বাচন বাতিল করা হোক। এই নির্বাচনের কথিত ফলাফল আমরা প্রত্যাখ্যান করছি এবং সেই সাথে নির্দলীয় সরকারের অধীনে পুনর্নির্বাচনের দাবি করছি।’
গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলেও জানান ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা।
ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকের পর আগামীকাল (সোমবার) বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানানো হয় ব্রিফিংয়ে।
রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলে। ভোটের দিন সংঘাত-সহিংসতার কারণে সারা দেশে মোট ২২টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। সারা দেশে ২৯৯ আসনে মোট ৪০ হাজার ৫১টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়। এই হিসেবে বাতিল হওয়া কেন্দ্রের সংখ্যা ০.০৫ শতাংশের কাছাকাছি।