গতকাল রোববার সিলেট-৩ আসনের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বালাগঞ্জ উপজেলায় দু-একটি বিছিন্ন সহিংসতার ঘটনা ছাড়া উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ৩৪টি কেন্দ্রের শান্তিপুর্ণ ভোটগ্রহণ অনুষ্টিত হয়েছে।
উপজেলার আজিজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সহিংসতার ঘটনায় উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সায়েম আহমদ সুহেল (৩২) গুলিবিদ্ধ হন। পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয় বলে জানিয়েছেন নিহত সুহেলের ভাগনা রায়হান আহমদ। বালাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ গাজী আতাউ রহমান জানান দুপুর আড়াইটার দিকে আজিজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বিএনপি-আওয়ামীলীগের সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশসহ যৌথবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। তিনি জানান হতাহতের বিষয়ে আমি অবগত নয়।
সকালের দিকে উপজেলার দেওয়ানবাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, কুবেরাইল প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ৩৪টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ শেষে বেসরকারী ফলাফলে জানাগেছে, নৌকা প্রতীকে মহাজোট তথা আওয়ামীলীগ মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী ভোট পেয়েছেন ৫১হাজার ৪শ’ ৯ ভোট। এবং তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি বিএনপি তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মনোনীত প্রাথী শফি আহমদ চৌধুরী ধানের শীষে ১১হাজার ৬শ ৪০ ভোট পান।
সকাল ৮টা থেকে বিরতিহীন ভাবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্টিত হয়। উপজেলা প্রশাসন থেকে প্রতিটি কেন্দ্রে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়। তবে বিভিন্ন কেন্দ্রের আশপাশ এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার কারনে সকালের দিকে ভোটারদের তেমন উপস্থিতি ছিলনা। এমনকি কয়েকটি কেন্দ্র নিরাপত্তার জন্য সাময়িক বন্ধ রাখার হয়। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে কিছু কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। ছোটখাট বিশৃঙ্খলার ঘটনা ছাড়া প্রায় সবকটি কেন্দ্রে শান্তি পুর্ণভাবে ভোট গ্রহন সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনী কাজে কর্মকর্তা ছাড়াও ৫স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও বিজিপির টহল ছিল।