পাঁচ বছর আগে কাজী রকিবউদ্দীন কমিশনের সময়ে ছয় ধাপে উপজেলা পরিষদে ভোট হয়েছিল। ওই নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বরাদ্দের সুযোগ না থাকলেও এবার দলীয় প্রতীকে ভোট হবে। স্থানীয় সরকার (উপজেলা পরিষদ) আইন অনুযায়ী পরিষদের প্রথম বৈঠকের দিন থেকে পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিন বা ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের বিধান রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার বিভাগ লিখিতভাবে নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন আয়োজনের অনুরোধ জানাতে হবে। একইসঙ্গে এই সময়ের মধ্যে কোন কোন উপজেলা নির্বাচনের জন্য উপযোগী হয়েছে তারও তালিকা দিতে হবে। সারাদেশে ৪৯৩টি উপজেলা পরিষদ রয়েছে।
বুধবার নির্বাচন ভবনে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, উপজেলা নির্বাচন তো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই করতে হবে। যেহেতু ফেব্রুয়রি মাসে এসএসসি পরীক্ষা আর এপ্রিল মাসে এইচএসসি পরীক্ষা। তাই মার্চ মাসে উপজেলা নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত মনে করা হচ্ছে।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্চে নির্বাচন করতে হলে জানুয়ারি কিংবা ফেব্রুয়ারির শুরুতেই তফসিল ঘোষণা করতে হবে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুই সপ্তাহ পরই, ১৯ জানুয়ারি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে রকিব কমিশন। ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত মোট ছয় ধাপে ওই নির্বাচনের ভোট হয়। সে সময় ছয় ধাপে ৪৮৭টিরও বেশি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে গতবার নির্দলীয় ভোট হলেও এবার দলীয় প্রতীকে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন পরিচালনা শাখার কর্মকর্তারা জানান, যেসব উপজেলা পরিষদের মেয়াদ জুলাই মাসে শেষ হচ্ছে ওই সব উপজেলার নির্বাচন ৩১ মার্চে মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। জুলাইয়ের পরে যেসব উপজেলা পরিষদের মেয়াদ শেষ হবে সেগুলোর নির্বাচন-পরবর্তী সুবিধাজনক সময়ে ঘোষণা করা হবে। এ নির্বাচনে কমিশনের ব্যাপকভাবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে।