সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ওসমানীনগর উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী খাগদিওর গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী শিক্ষানুরাগী মশহুর আলম চৌধুরী শামীম স্থানীয় এলাকাবাসীর আহবানে সাড়া দিয়ে ২০১৮ সালে এ একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি একাধারে একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব চালিয়ে যাচ্ছেন।
একাডেমির সহ পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এলাকার শিক্ষানুরাগি মাহফুজুল ইসলাম চৌধুরী এবং ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সৈয়দ নাসির উদ্দিন।
জানা গেছে, একাডেমিতে প্রথমবর্ষে প্লে শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা শুরু হয়। বিগত ২০১৮ সালের প্রাথমিক সমাপনী (পিএসসি) পরীক্ষায় একাডেমির ১০জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। তাদের মধ্যে কৃতি শিক্ষার্থী মাহেরুল ইসলাম মাহের জিপিএ-৫ পেয়েছে। এছাড়াও অন্যদের মধ্যে এ গ্রেড পেয়েছে ৪জন, এ- গ্রেড পেয়েছে ৪জন এবং বি গ্রেড পেয়েছে ১জন। এ গ্রেড প্রাপ্ত পরীক্ষার্থীরা হচ্ছে মো. লায়েক মিয়া (৪.৮৩), মোহাম্মদ আলী ছায়িম (৪.৫৮), সাইফুর রহমান (৪.২৬) এবং লাভিবা সুলতানা লিপা (৪.১৬)। এছাড়া এ- গ্রেড পেয়েছে নাদিয়া আক্তার রিয়া (৩.৮৯), তাহমিনা বেগম (৩.৬৬), মাহিমা বেগম (৩.৭৫) এবং মনিরা বেগম (৩.৫০)। এছাড়া বি গ্রেড পেয়েছে ছাকিবা বেগম (৩.৩৩)।
এ বিষয়ে আলাপকালে একাডেমির সহ পরিচালক মাহফুজুল ইসলাম চৌধুরী একাডেমির প্রথমবর্ষের প্রাথমিক সমাপনী (পিএসসি) পরীক্ষার্থীদের সাফল্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক মশহুর আলম চৌধুরী শামীমের আন্তরিক পৃষ্টপোষকতা ও দিক-নির্দেশনা এবং এলাকাবাসীর সহযোগিতায় একাডেমির এ অগ্রযাত্রা ইনশা আল্লাহ আগামীদিনেও অব্যাহত থাকবে। বর্তমান সময়ের শিক্ষার্থীদের আগামীদিনের আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে আমাদের এ প্রচেষ্টা আরও জোরদার করা হবে। একাডেমির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সৈয়দ নাসির উদ্দিন একাডেমির প্রথমবর্ষের এ কৃতিত্ব ধরে রাখতে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তিনি এ ব্যাপারে পরিচালক ম-লি, শিক্ষক এবং অভিভাবকসহ এলাকাবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেছেন।