কুয়েতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে সংঘটিত শ্রমিক সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে আটক শ্রমিকদের মুক্ত করার জন্য দূতাবাস ও বাংলাদেশ সরকার যৌথভাবে কাজ শুরু করেছে।
আজ শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, কুয়েতের লেসকো কোম্পানিতে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের আক্রমণে কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলরসহ তিনজন আহত হন। স্থানীয় পুলিশ আসার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং কিছু শ্রমিককে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় দেশটির পুলিশ। তবে পরিস্থিতি এখন পুরোপুরি শান্ত।
ইতোমধ্যে কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাস ও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তাদের দ্রুত মুক্ত করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরছে, লেসকো কোম্পানির মালিককে বাংলাদেশ দূতাবাসে ডেকে পাঠানো হয়। এ সময় ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ ও আকামা নবায়নসহ সব সমস্যা সমাধানে রাজি হয়েছে ওই কোম্পানি।
এ ধরনের পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সেজন্য পদক্ষেপ নিতে বিদেশে বাংলাদেশের সব দূতাবাস ও প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন প্রবাসী শ্রমিকেরা। এ সময় এক দল শ্রমিক বাংলাদেশ দূতাবাসে ঢুকে ভাঙচুর চালায়।
কুয়েতের লেসকো কোম্পানিতে কর্মরত তিনশ বাংলাদেশি শ্রমিককে ৩ মাস ধরে বেতন ভাতা দেওয়া হচ্ছিলো না। এতে দূতাবাসের কাউন্সিলরসহ তিনজন আহত হন।