গ্যাসের দাম বাড়ানো নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আলোচনা করছে। বিভিন্ন কোম্পানি প্রস্তাব দিয়েছে। ভোক্তারাও তাদের অনুরোধ ও মন্তব্য দিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে সাভারের বিরুলিয়া এলাকায় অবস্থিত ব্র্যাক সিডিএম এ ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আয়োজনে তিনদিন ব্যাপী ইন্টারন্যাশনাল সম্মেলন অন এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং-২০১৯ এ যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে গ্যাসের পরিমাণ সীমিত। এদিকে সরকার এলএমজি গ্যাস আমদানি করছে। তবে এলএমজি গ্যাস দেশীয় গ্যাসের দামের চেয়ে বেশি। দেশীয় ও আমদানি করা গ্যাসের মধ্যে দাম সমন্বয় করে দিলে ভোক্তাদের জন্য ব্যয়বহুল হবে না। দেশে নতুন গ্যাস আসলে প্রথমে বিদ্যুৎ, পরে শিল্প ও তারপরে সার কারখানায় দেওয়া হবে। এরপরেই বাসা বাড়িতে গ্যাস দেওয়ার চিন্তা ভাবনা করা হবে।
তিন দিনের সম্মেলনে দেশ-বিদেশের খ্যাতনামা জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন। এতে বাংলাদেশের হয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৪ জন শিক্ষার্থী প্রতিনিধিত্ব করছেন। সম্মেলনে পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ক শিক্ষার অবকাঠামো ও নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহারসহ ৩৬টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ভার্জিনিয়া টেক ইউনিভার্সিটির প্রফেসর সাইফুর রহমান, চায়নার স্টেট গ্রিড করপোরেশনের ড. ইউ জুন, অস্ট্রেলিয়ার অফ ইউনিভার্সিটির অফ প্রফেসর তপন কুমার সাহা, অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন ইউনিভার্সিটির প্রফেসর সাইদ ইসলাম, ভারতের পোসোকোর ড. সুশীল কুমার সোনি ও পাওয়ার রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কনসাল্টেন্ট ড. নাগারাজা রামাপ্পা।