এই সব নেতাকর্মী বলেন, দল নৌকা দিয়েছে শাহ মুজিবুর রহমান জকনকে, কিন্তু দলের লোক তার সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করেছে। তাইতো নৌকার ভরাডুবি হয়েছে। তাঁরা বলেন এরা সামনে নৌকা বল্লেও নৌকার কাজ করেনি, কাজ করেছে অন্য কারোর। তাই ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদকের কেন্দ্রে নৌকা মাত্র ৬০ ভোট পেয়েছে।
অপরদিকে ঘিলাছড়া ইউনিয়নের বঙ্গবন্ধু সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র আওয়ামী এলাকা হিসেবে পরিচিত। কিন্তু এই কেন্দ্রে নৌকা পেয়েছে মাত্র ৭৩ ভোট, কাপপিরিছ প্রতিকের নুরুল ইসলাম পেয়েছেন ৩৪৬ ভোট ও আল ইসলাহ প্রার্থী মাওলানা হারুনুর রশিদ মোটর সাইকেল প্রতিকে পান ৪৮৫ ভোট।
এছাড়া চন্ডী প্রসাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৌকা পায় ৭৩ ভোট, মোহাম্মদীয়া মাদ্রাসায় ২৮ ভোট, সৈয়দ রিয়াছত আলী স্কুলে ২৭ ভোট, ঘিলাছড়া দ্বিমুখী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩০ভোট, জামেয়া দক্ষিণ ফেঞ্চুগঞ্জ মাদ্রাসায় ৩৮ ভোট ও ফকিরপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৮ ভোট।
এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েছের কেন্দ্রে নৌকা মাত্র ২৭ ভোট পেয়েছে। ৪ নং ইউনিয়নের কুতুবপুর সেন্টারে নৌকা ৩০ ভোট পায়। খিলপাড়া সেন্টার আওয়ামী লীগের ঘাটি হলে ও নৌকা পায় ৩০ ভোট। এছাড়া ও বেশ কিছু সেন্টারে ১০০ এর নিচে ভোট পড়েছে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে। সোমবার (১৮ মার্চ) রাতে বেসরকারি ফলাফলে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, কাসিম আলী সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ৪৮৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন উপজেলা বিএনপির বহিস্কৃত সহ-সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান ছুফি। অন্যদিকে ২৭৭ ভোট পেয়ে ছুফির নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নুরুল ইসলাম। আর মাত্র ২৪৭ ভোট পেয়ে নিজ কেন্দ্রেই তৃতীয় হন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শাহ মুজিবুর রহমান জকন।
ফেঞ্চুগঞ্জের ৩৬টি ভোট কেন্দ্র মিলিয়ে নৌকার প্রার্থী জকন ৪৬১৭ ভোট পেয়েছেন। বিজয়ী চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামের ভোটের তিন ভাগের একভাগ পেয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, পঞ্চম উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপে সোমবার (১৮ মার্চ) ফেঞ্চুগঞ্জে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৮ থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় মোট ভোটার ৭২হাজার ৬৫৪জন। তার মধ্যে ৩২ হাজার ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।