মা শিরি বেগম বলেন- রোগাক্রান্ত সিরাজুস সালেকিন এখন নরম জাতীয় খাবার ছাড়া অন্য কোন ধরনের খাবার গ্রহণ করতে পারছে না। প্রায় ঘরে বন্দি অবস্থায় এই দুই বিরল রোগী ভাই বোন অসহ্য যন্ত্রণা পোহাতে হচ্ছে দিনের পর দিন। দিনের বেলায় ঘরের বাহিরে না যেতে ডাক্তারি পরামর্শ তাকায় ঘরের বাইরেও যেতে পারছে না এরা দুই ভাই বোন। তার পরেও রিমার রোগটি ক্রমাগত বেড়েই চলেছে দিনের পর দিন।
পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি বাবা ফখরুল ইসলাম আফরোজের নুন আনতে পান্তা ফুরায়। পাশা পাশি পরিবারের অন্য সদস্যদের লেখাপড়ার খরচসহ পরিবারের ভরণপোষণ করতেই হিমশিম খাচ্ছেন।
প্রতি সপ্তাহে ছেলে ও মেয়ের কত টাকার ঔষধ লাগে এমন প্রশ্নের জবাবে রোগীগনের বাবা ফখরুল ইসলাম (আফরোজ) কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন- এই দুইজনের ডাক্তারি ফি ছাড়াও শুধু ঔষদের জন্য প্রতি সপ্তাহে তিন হাজার টাকার প্রয়োজন হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুঠোফোনে সিলেট প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের ডাক্তার হাসিব রহমান বলেন- এই ধরনের রোগীদের চিকিৎসা হয়তো ইউরোপ আমেরিকার মতো দেশে থাকতে পারে তবে বর্তমানে ব্যাথা নাশক ঔষধ এবং পরামর্শ দিয়েছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রুপেন সিংহ বলেন- তাদেরকে মানবিক সাহায্যের আবেদনের জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তাদের পাশে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
বাবা ফখরুল ইসলাম আফরোজ ছেলের ও মেয়ের সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া ও আর্থিক সহযোগিতা চেয়েছেন। বাবা ফখরুল ইসলাম আফরোজ আরো বলেন- ইতোমধ্যে সরকারের কাছে সাহায্য চেয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে আবেদন করা হয়েছে। অসহায় পরিবারের সাথে যোগাযোগের জন্য মোবাইল নং ০১৭৩১৩৮১৩৬৫।