রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রবিবার থেকে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু



অনলাইনে এবং মোবাইল থেকে এসএমএসের মাধ্যমে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির কার্যক্রম শুরু হবে রবিবার (১২ মে) থেকে। প্রতিবারের ন্যায় এবারও প্রাপ্ত জিপিএ’র ভিত্তিতে কলেজে ভর্তি হতে পারবে শিক্ষার্থীরা।

রবিবার বেলা ১২টায় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ঢাকা শিক্ষা বোর্ড মিলনায়তনে অনলাইনে একাদশ শ্রেণির ভর্তি কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, মেধাক্রম ও আসন বিবেচনায় না নিয়ে কলেজ পছন্দ করার কারণে অনেক সময় জিপিএ ৫ প্রাপ্তদের অনেকেই প্রথমবারেই পছন্দের কলেজে ভর্তি হতে পারেন না। যে কারণে কলেজে আসন সংখ্যা ও শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বরের উপর ভিত্তি করে আবেদনে ধারাবাহিকভাবে কলেজ পছন্দ দিলে শিক্ষার্থীদের জন্য ভোগান্তি কম হবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কলেজের আসন সংখ্যা ও শিক্ষার্থীর মেধাক্রম আবেদন করার সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে আসবে। শিক্ষার্থীরা তাদের বাবা-মার জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে সর্বনিম্ন পাঁচটি ও সর্বোচ্চ দশটি কলেজ পছন্দ দিতে পারবে।

নীতিমালা অনুযায়ী, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া ১২ মে থেকে শুরু হয়ে ২৩ মে (যারা পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করবে তাদেরও এই সময়ের মধ্যে আবেদন করতে হবে) পর্যন্ত চলবে। পুনঃনিরীক্ষণের পর যাদের ফলাফল পরিবর্তন হবে তারা ৩-৪ জুনের মধ্যে আবেদন করতে পারবে। আবেদন প্রক্রিয়া শেষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ১ম পর্যায়ে নির্বাচিতদের তালিকা বা ফলাফল ১০ জুন প্রকাশ করা হবে। এসএমএস ও স্ব-স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নোটিশ বোর্ডে তালিকা প্রকাশ করা হবে। ১১-১৮ জুনের মধ্যে শিক্ষার্থীদের মনোনয়নপ্রাপ্ত কলেজে নিশ্চায়ন করতে হবে। অন্যথায় আবেদন বাতিল হবে। ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ক্লাশ শুরু হবে ১ জুলাই থেকে। যেসব শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নির্বাচিত হয়নি তারা ১৯-২০ জুনের মধ্যে ফের আবেদন করতে পারবে। কোনো ধরনের ফি দেওয়া ছাড়াই তাদের আবেদনে নতুন কলেজ সংযোজন ও বিয়োজন করতে পারবে। একই সময়ের মধ্যে যারা আবেদন করেনি বা ভর্তির নিশ্চয়তা সম্পন্ন করেনি তারাও আবেদন করতে পারবেন।

অনলাইনে আবেদন করতে হলে www.xiclassadmission.gov.bd এ ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে হবে। অনলাইনে আবেদনের আগে শিক্ষার্থীকে শুধুমাত্র টেলিটক/রকেট/শিওরক্যাশ ব্যবহার করে অন-লাইনের আবেদন ফি এসএমএস এর মাধ্যমে দিতে হবে। প্রার্থীকে তার এসএসসি/সমমানের পরীক্ষার রোল নম্বর, বোর্ড, পাসের সাল এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে টেলিটক/রকেট/শিওরক্যাশ এর মাধ্যমে ১৫০ টাকা ফি জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে টেলিটক সিম থেকে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে CAD স্পেস WEB স্পেস পরীক্ষা পাসের Board এর নামের প্রথম তিন অক্ষর স্পেস পরীক্ষার রোল স্পেস পরীক্ষা পাসের বর্ষ লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে।

ফিরতি এসএমএস এ আবেদনকারীর নাম এবং আবেদন ফি বাবদ ১৫০ কেটে নেওয়া হবে তা জানিয়ে একটি পিন কোড দেওয়া হবে। ফি দিতে সম্মত থাকলে ম্যাসেজ অপশনে গিয়ে CAD(space)YES(space)PIN(space)CONTACT NUMBER (বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পুনঃনিবন্ধিত মোবাইল নম্বর) লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফি সঠিকভাবে জমা হলে প্রার্থীর মোবাইলে নিশ্চিতকরণের একটি Transaction ID সহ SMS যাবে। টেলিটক/রকেট/শিওরক্যাশ মাধ্যমে নির্ধারিত আবেদন ফি ১৫০ টাকা জমা দেওয়ার পর আবেদনকারীকে নির্ধারিত website- এ (www.xiclassadmission.gov.bd) Apply Online -এ ক্লিক করতে হবে। এরপর প্রদর্শিত তথ্য ছকে এসএসসি/সমমান পরীক্ষা পাসের রোল নম্বর, বোর্ড ও পাসের সন এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে সঠিকভাবে এন্ট্রি করতে হবে।

এরপর প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষ হলে আবেদনকারী একটি ফরম পাবে, সেটি ডাউনলোড করে নিতে হবে। একইভাবে সর্বনিম্ন ৫টি এবং সর্বোচ্চ ১০টি প্রতিষ্ঠানে আবেদন সম্পন্ন করতে হবে প্রার্থীকে। অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৫টি কলেজে আবেদন করলেও ১৫০ টাকা আবার ১০টি কলেজে আবেদন করলেও ১৫০ টাকা চার্জ করবে। এ ছাড়া এসএমএস এর মাধ্যমে আবেদন শুধুমাত্র টেলিটক প্রিপেইড সংযোগ থেকে সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে আবেদন করা যাবে।

সূত্র : কালের কন্ঠ

শেয়ার করুন:

প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

error: Content is protected !!