রাতে বৃষ্টি হলেও সকালের রোদের দেখা মেলে। কিন্তু হঠাৎ ঈদের দিন (বুধবার) সকাল পৌঁনে ৮টার দিকে আকাশ কালো কালো মেঘে ঢেকে গিয়ে নামে ঝুম বৃষ্টি।
তখন রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসল্লিরা প্রধান জামাতে অংশ নেয়ার জন্য আসছিলেন। তারা সারি ধরে আর্চওয়ের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করছিলেন। হঠাৎ বৃষ্টি নামায় বিপদে পড়ে যান তারা। ঈদগাহের সামনে বিপুল সংখ্যক মানুষ জমে যায়। একসঙ্গে অনেক মানুষ জমে যাওয়ায় বিশৃঙ্খলার আশঙ্কায় বেরিকেড দিয়ে মানুষের প্রবেশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ সময় বৃষ্টিতে ভিজতে থাকা অনেকেই পুলিশের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন।
পরে পুলিশ ব্যারিকেড সরিয়ে নিলে একযোগে মুসল্লিরা ঈদগাহ মাঠের সামিয়ানার মধ্যে প্রবেশ করেন।
অনেককেই ভিজে জবুথবু অবস্থায় ঈদগাহে প্রবেশ করতে দেখা গেছে। ভারী বৃষ্টির কারণে ঈদগাহের অনেক স্থানে সামিয়ানা দিয়ে পানি পড়তে দেখা যায়।
সকাল সোয়া ৮টার দিকে ঈদগাহ মুসল্লিপূর্ণ হয়ে গেলে প্রধান গেট বন্ধ করে দেয়া হয়। সময় মত বাইরে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি অপেক্ষা করতে থাকেন। তারা পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে কিছুটা জোর করে প্রবেশের চেষ্টা করলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে অবশ্য গেট খুলে তাদের ভেতরে ঢোকানো হয়।
ঈদের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় শুরু হয়। এরপর মোনাজাতের মাধ্যমে বেলা ৮টা ৫৫ মিনিটে শেষ হয়।
প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হাসান, মন্ত্রিসভার সদস্যসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অংশ নেন।
জাতীয় ঈদগাহে প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান।
সূত্র : ভোরের কাগজ