‘চলো সবাই এগিয়ে যাই, লক্ষ-কোটি হাসি মুখ চাই’ এই স্লোগান নিয়ে বেশ আগে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কাজ করার খবর পড়েছিলাম। সংগঠনটি এলাকার অবহেলিত শিশুদের নিয়ে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ দরিদ্র মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে বিভিন্ন কল্যাণমুখী কাজ করে এমন খবরও পড়েছিলাম। কিন্তু বাস্তবে যখন আমার এলাকায় দুর্যোগ মুহূর্তে শিশুদের শুকনো মুখে কাউকে হাসি ফোটাতে দেখলাম তখন সত্যিই আনন্দিত হলাম। বলছিলাম বালাগঞ্জের ইউএনও মোঃ নাজমুস সাকিবের কথা।
সম্প্রতি ইউএন ও মোঃ নাজমুস সাকিব নিজের ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও নিজের অর্থায়নে বন্যার্ত শিশুদের উজ্জীবিত রাখতে তাদেরকে খেলনা সামগ্রী উপহার দিয়েছেন। তাঁর এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ প্রসঙ্গে তাঁহার সাথে কথা বললে জানা যায়, জাপান সফর কালে তিনি শিখেছিলেন সুনামি আক্রান্ত পরিবার ও আশ্রয় কেন্দ্রে কিভাবে বাচ্চাদের উজ্জীবিত রাখা যায়। তাই তিনি নিজ দেশে ও বন্যাক্রান্ত পরিবারের শিশুদের সাইকোলজিক্যাল দিক চিন্তা করে শিশুদের উৎফুল্লতার কথা মাথায় রেখে নিজ উদ্যোগে পানিবদ্ধ ঘর-বাড়িতে সরকারী খাদ্য সামগ্রীর পাশাপাশি কিছু খেলনা সামগ্রী বিতরণ করছেন। তাতে বাচ্চাদের বাধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস তিনি দেখতে পাচ্ছেন। এত দুর্যোগপূর্ণ সময়েও বাচ্চাদের মলিন মুখে এমন প্রাণবন্ত হাসি দেখে তিনি আপ্লুত। জীবনের কঠিন মুহূর্তে বাচ্চারা একটু হলেও এমন হাসি-খুশিতে থাকবে এই জন্যই তাঁর এই সামান্য প্রচেষ্ঠা বলে তিনি জানান।
বন্যার্ত শিশুদের মাঝে খেলনা সামগ্রী বিতরণ ও তাদের সাথে আনন্দময় মুহূর্তের কিছু ছবি ও তিনি তাঁর ফেসবুক পেজে আপলোড দিয়েছেন। যা অনেকের নজরে এসেছে। বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়ায় তাঁর এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের খবর ও প্রকাশিত হয়েছে। যা পড়ে ইতোমধ্যে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নাগরিকরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাজমুস সাকিবের এ প্রচেষ্টা এবং শিশু-কিশোরদের প্রতি তাঁর ভালোবাসার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। বালাগঞ্জ সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ লিয়াকত শাহ ফরিদী, বালাগঞ্জ উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও রসময় মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল আলম, বালাগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি রজত দাস ভুলন, সাধারণ সম্পাদক মো. জিল্লুর রহমান জিলু, বালাগঞ্জ উপজেলা টুরিস্ট ক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ ছালিকুর রহমান প্রমুখ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।