কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে জমে উঠেছে পশুর হাট। স্থায়ী হাটের পাশাপাশি অস্থায়ী গরুর হাট বসেছে বিভিন্ন জায়গায়। এদিকে গত ২ বছর ধরে বালাগঞ্জ বাজারে পশুর হাট স্থায়ী হলেও বন্যার কারণে এবার এম এ খান অডিটোরিয়াম প্রাঙ্গনে বসেছে এ বিরাট গরু ছাগলের হাট। যেখানে ছোট বড় ব্যপক গরু ছাগল উঠেছে এবং বিক্রি ও হচ্ছে। এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ দামি যে ষাঁড় গরুটি বালাগঞ্জ বাজারে উঠেছে তার দাম হাঁকা হচ্ছে ৩ লাখ টাকা। রিফাত পুর গ্রামের ইয়াওর মিয়ার ভাই পুতুল মিয়া বড় এ ষাঁড়টি এনেছেন বিক্রির জন্য। তিনি ৩ লাখ টাকা হলে বিক্রি করবেন বলে জানিয়েছেন।
ঈদকে সামনে রেখে বালাগঞ্জের বিপনি বিতান গুলোতে ও ক্রেতাদের ভিড় লক্ষণীয়। ইতোমধ্যে বেশ জমে উঠেছে কেনাকাটা। বালাগঞ্জ বাজার ছাড়াও উপজেলার অন্যান্য বাজারে ও ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে শুরু হয়েছে কেনাকাটা।
ঈদের এসব কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তরুণ-তরুণীসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ। পারিবারিকভাবে দল বেঁধে ও ঈদের কেনাকাটা করতে আসছেন অনেকে। এসব দলে বাবা-মায়ের হাত ধরে ছোট্ট শিশুরাও নিজেদের পছন্দের প্রয়োজনীয় জিনিস খুঁজে নিচ্ছে দোকান গুলো থেকে। এসব কেনাকাটায় রোদ-বৃষ্টি, গরমকে উপেক্ষা করেই মানুষজন ছুটছেন ঈদের বাজারের দিকে।
বাজারে ব্যবসায়ীরাও ক্রেতাদের পছন্দ অনুযায়ী ঈদ সামগ্রী দিয়ে সাজিয়ে রেখেছেন তাদের দোকান। বিশেষ করে নতুন ডিজাইন আর বিভিন্ন মডেলের পোশাক কিনতে শুরুতেই তরুণ-তরুণীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষণীয় এসব দোকানে । ঈদকে সামনে রেখে ফুটপাতের ব্যবসায়ীরাও কাপড়ের সমাহার নিয়ে বসেছেন বিভিন্ন হাট-বাজারে। অল্প লাভে বেশি বিক্রির আশায় বেশির ভাগ এসব পোশাক ব্যবসায়ীদের প্রথম টার্গেট হচ্ছেন নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত ক্রেতারা।
বিভিন্ন দোকানে ঘুরে দেখা গেছে, গত বছরের তুলনায় এই বছর প্রয়োজনীয় জিনিষপত্রের দাম সহনীয়। স্থায়ী এক ব্যবসায়ীর সাথে আলাপকালে তিনি জানান, দাম সাধ্যের মধ্যে থাকায় তার দোকানে বিভিন্ন ডিজাইনের কাপড়ের চাহিদাটা একটু বেশি। তিনি সকল ক্রেতার পছন্দের কথা মাথায় রেখে তার দোকান সাজিয়েছেন নতুন নতুন ডিজাইনের কাপড় দিয়ে।
বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল সাকিব জানান, ঈদুল আজহায় যাতে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য সকল ধরণের প্রস্তুতি রয়েছে। অনুমোদন বিহীন কোথাও কোন হাট বসলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।