শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বালাগঞ্জ ডি এন উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক-সংকট চরমে, কার্যক্রমে স্থবিরতা



শিক্ষক-সংকটে বালাগঞ্জ সরকারি ডি এন উচ্চ বিদ্যালয়ের এক হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর পাঠদান চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যালয়টিতে ছাত্র-ছাত্রী, ক্লাসরুম, ব্ল্যাকবোর্ড, চেয়ার, টেবিল, বেঞ্চ – সবই আছে। ঘাটতি রয়েছে শুধু শিক্ষকের। যেখানে ২৫ জন শিক্ষক থাকার কথা সেখানে নামে মাত্র আছেন ১০জন। এই ১০ জন শিক্ষকের পক্ষে ৫টি শ্রেণীতে ১১টি শাখার ১১০০ শিক্ষার্থীর পাঠদান করানো অসম্ভব। এতে করে শিক্ষার গুণগতমান অর্জন তো দূরের কথা ‘নামের শিক্ষা’ পায় না এখানকার শিক্ষার্থীরা। তাছাড়া বালাগঞ্জ সরকারি ডি এন উচ্চ বিদ্যালয়ে বালাগঞ্জ ও রাজনগর দুই উপজেলার শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা করে ।

সরেজমিনে দেখা যায়, স্কুল ভবনটি বেশ সুন্দর। স্কুলটিতে কম্পিউটার ল্যাব ২টি, শেখ রাসেল ল্যাব একটি, মাল্টিমিডিয়া ৭টি ক্লাস এবং মুক্তিযোদ্ধা কর্নার ১টি রয়েছে । ভবন নকশায় এই স্কুলটির শ্রেণিকক্ষগুলো বেশ সাজানো। প্রতিটা ক্লাসে ছাত্র-ছাত্রী ভরপুর, ছাত্র-ছাত্রীরা বসে আছে কিন্তু শিক্ষক নেই। ১৯৪৬ সালে এই স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। পুরাতন এই বিদ্যালয়ে নতুন ভবনসহ সবই আছে, শুধু নেই পর্যাপ্ত শিক্ষক। স্কুলের প্রধান শিক্ষক নেই। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে চলছে স্কুল।

২০১৮ সালে এই স্কুলটি সরকারিকরণ করা হয় । ২০১৮ সালে জেএসসি তে জিপিএ ৫ পায় এই বিদ্যালয়ের ৮জন পরীক্ষার্থী, কিন্তু ২০১৯ সালের এসএসসি তে একটিও জিপএ ৫ পায়নি কোন পরীক্ষার্থী । আর এজন্য শিক্ষক না থাকার প্রভাব পড়ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

পাঠদান নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বললে স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র মাহবুবুর রহমান নাহিদ বলে, ‘স্যার পড়া দিয়া অন্য ক্লাসে যান। আবার পরে এসে পড়া নেন। এভাবে আমাদের পড়ান।

অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ। ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে ১০ জন শিক্ষক পারিশ্রম করে নিয়মিত স্কুলে পড়াচ্ছেন । বর্তমানে তাঁদের ভরসাতেই নিয়মিত স্কুলে যাচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীরা ।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, স্কুল সরকারি হয়েছে কিন্তু এখনো শিক্ষক জাতীয়করণ হয়নি। জাতীয়করণ হয়ে গেলে সরকারিভাবে শিক্ষক দেওয়া হবে। আপাতত কিছুদিন এরকম ভাবে চলবে।

স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বলেন, সরকারি নিয়মে ২৫ জন শিক্ষক থাকা প্রয়োজন । বর্তমানে ১০ জন শিক্ষক আছেন। পাঁচটি শ্রেণীতে ১১টি শাখার মধ্যে প্রায় ১১০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই এই স্কুলে শীঘ্রই শিক্ষক প্রয়োজন ।

শেয়ার করুন:

প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

error: Content is protected !!