সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। আর এ উৎসবকে জমিয়ে তুলতে সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলায় প্রতিমা তৈরি ও সাজসজ্জায় ব্যস্ত সময় পার করছেন আয়োজক ও কারিগররা। উপজেলায় সার্বজনীন ও ব্যক্তিগত সব মিলিয়ে এ বছর ৩১টি পূজা মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা পূজা পরিষদের সভাপতি রজত চন্দ্র দাস ভুলন ও সাধারণ সম্পাদক নয়ন তালুকদার।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন পূজা মন্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, মূর্তি তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারগিররা। উপজেলার কেন্দ্রীয় পূজা মন্ডপ সদর ইউনিয়নের মদন মোহন আশ্রমে প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন চুনারুঘাট থেকে আসা মৃৎশিল্পি বিমল পাল। তাঁর সাথের শম্বু বৈদ্য বলেন, তাঁরা ৭ টি মূর্তির কাজ করছেন। এই মুহূর্তে যেটির কাজ কাছেন এটা হলো তাঁদের শেষ মুর্তি।
মাধবপুর থেকে আসা মৃৎ শিল্পী বিকাশ পাল জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর মূর্তি তৈরির কাজ একটু বেশি। দুই সপ্তাহর বেশি সময় ধরে এ মন্ডপগুলোতে প্রতিমা তৈরির কাজ করতে হবে। প্রতিমা যাতে দৃষ্টি নন্দন হয় সেই লক্ষ্যে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
বালাগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রজত চন্দ্র দাস ভুলন বলেন, আগামী ৪ অক্টোবর থেকে শারদীয়া দুর্গাপূজা শুরু হবে। ৮ অক্টোবর দশমী পূজা ও বির্সজনের মধ্যে দিয়ে এ উৎসবের সমাপ্তি হবে। জেলা ও মহানগর পূজা পরিষদের সভায় দুর্গাপূজার ছুটির বৃদ্বির দাবি জানানো হয়েছে। সব মিলিয়ে পূজার প্রস্তুতি ভালোই চলছে। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও উপজেলা পর্যায়ে মনিটরিং সেল, মন্ডপে পূজা কমিটি কতৃক স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী রাখার সিদ্বান্ত নেওয়া হয়েছে উপজেলা পর্যায়ে বার্ষিক সভায়। সিলেটের পুলিশ সুপার এর সাথে ইতোমধ্যে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বালাগঞ্জ থানার অফিসার ইন চার্জ গাজী আতাউর রহমান জানান, আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকাল ৩ টার সময় শারদীয় দুর্গোৎসব সুষ্টভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে উপজেলা পূজা পরিষদ, পূজামন্ডপের সভাপতি, সম্পাদক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে একটি মতবিনিময় সভার আহ্বান করেছি।