বিসিবির সঙ্গে ধর্মঘটী ক্রিকেটারদের বৈঠকে আলোচনা হয় আগের ১১ দফা দাবি নিয়ে। অতিরিক্ত দুটি দাবির বিষয়ে তখন পর্যন্ত অবগত ছিলেন না বিসিবি প্রধান। তবে বিসিবি বরাবর যে আইনি চিঠি এসেছে সেটা জেনেছিলেন সন্ধ্যার পরেই।
আলোচনার টেবিলে তাই ১১ দাবি নিয়েই চলে দ্বিপাক্ষিক কথাবার্তা। এক পর্যায়ে সবগুলো দাবি নিয়েই ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। টেবিলেই ৯টি দাবি মেনে নেয়ার অঙ্গীকার করা হয়। বাকি দুটি দাবি পর্যায়ক্রমে সময় সাপেক্ষে যৌক্তিকভাবে পূরণ করা হবে বলে আশ্বস্ত করা হয়। এতে ধর্মঘট স্থগিত করার ঘোষণা আসে ক্রিকেটারদের কাছ থেকে।
মিরপুরের বিসিবি কার্যালয়ে বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাত ১১টায় শেষ হওয়া বৈঠকের দৈর্ঘ ছিল সংক্ষিপ্তই। সাড়ে ৯টা থেকেই সেখানে আসতে শুরু করেন আন্দোলনকারী ক্রিকেটাররা। আগে থেকেই যেখানে উপস্থিত ছিলেন বোর্ড প্রধানসহ অন্য পরিচালকরা। আলোচনার সূত্রপাত হয় সাড়ে ১০টার দিকে।
আলোচনায় অংশ নেন সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, ইমরুল কায়েসসহ সিনিয়র ও জুনিয়র মিলে প্রায় অর্ধশত ক্রিকেটার। মাত্র আধাঘণ্টার আলোচনার পরেই সংবাদ সম্মেলনে প্রথমে কথা বলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তিনি জানান, সব দাবিই যৌক্তিক। কোনো দাবিই না মানার মতো নয়। সেটা আমরা আগেই বলেছি। তবে ৯টি দাবি আমরা মেনে নিয়েছি। বাকিগুলোও মানার কথা বলেছি।
এরপর ক্রিকেটারদের পক্ষ থেকে সাবিককে কথা বলার জন্য বলা হয়। সাবিক কিছুটা দ্বিধার সঙ্গে বলেন, পাপন ভাইতো সব বলেই দিলেন। তারপরও কোনো প্রশ্ন নয়। তবে বলতে চাই, সবকিছু নিয়েই আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় আমরা খুশি। তবে দাবিগুলো পূরণ নিয়ে আমরা খুশি কিনা সেটা পরেই বলা যাবে।
অবশেষে সিদ্ধান্ত হয়, ভারত সফর উপলক্ষে শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) থেকে ক্রিকেটাররা জাতীয় দলের ক্যাম্পে ফিরবেন। আর শনিবার থেকে যথারীতি এনসিএল খেলবেন। দিনভর নানা নাটকীয়তার অবসান হয়েছে এভাবেই।
ঘটনার আগে সন্ধ্যায় গুলশানে ক্রিকেটারদের সংবাদ সম্মেলনে মুখপাত্র হিসেবে কথা বলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। ১৩ দফা দাবি পেশের পাশাপাশি তিনি বিসিবির কাছে চিঠিও পাঠান। জানিয়ে দেন বোর্ডের সঙ্গে ক্রিকেটাররা আলোচনায় বসতে রাজি।