ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার মন্দভাগ রেলস্টেশনে তূর্ণা নিশীথা ও উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের সংঘর্ষে নিহত ১৬ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। সোমবার (১১ নভেম্বর) রাত ৩টার দিকে ঘটনা ওই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে অর্ধ শতাধিক মানুষ।
অস্থায়ী তথ্যকেন্দ্র থেকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সামশুজ্জামান ১৫ জন নিহতের পরিচয় জানিয়েছেন। এরা হলেন- চাঁদপুরের হাজিগঞ্জের পশ্চিম রাজারগাঁওয়ের আবদুল জলিলের ছেলে মজিবুর রহমান (৫৫), হাইমচরের দক্ষিণ ঈশানপুরের মঈন উদ্দিনের স্ত্রী কাকলী (২০), হবিগঞ্জের বাহুলার ইয়াছিন আরাফাত (১২), একই জেলার সৈয়দাবাদের আজমত উল্লাহর ছেলে রিপন মিয়া (২৫), চুনারুঘাটের তীরগাঁওয়ের মৃত আবদুল হাশিমের ছেলে সুজন আহমেদ(২৪), মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার গাজীপুরের মুসলেম মিয়ার স্ত্রী জাহেদা খাতুন (৪৮), চাঁদপুরের হাজিগঞ্জের পশ্চিমরাজারগাঁও মজিবুর রহমানের স্ত্রী কুলসুম বেগম (৩০), হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের মদনমূরকের আইয়ুব হোসেনের ছেলে আল আমীন (৩০), চাদপুরের হাইমচরের ঈশানপুরের জাহাঙ্গীর হোসেনের মেয়ে মরিয়ম বেগম (৬), হবিগঞ্জের আনোয়ারপুরের আলী মো. ইউসুফ (৩২), হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের আহমাদাবাদের আবদুস সালামের স্ত্রী পিয়ারা বেগম, হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের বড়বাজারের সোহেলের মেয়ে আদিবা (২), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সোহেল রানার মেয়ে সোহামনি (৩), নোয়াখালীর মাইজদীর শংকর হরিজনের ছেলে রবী হরিজন (২৩) ও চাঁদপুরের উত্তর বালিয়ার বিল্লাল মিয়াজির মেয়ে ফারজানা (১৫)। অপর একজনের লাশের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
দুর্ঘটনাস্থলের কাছে বায়েক শিক্ষা সদন উচ্চ বিদ্যালয়ে খোলা অস্থায়ী ক্যাম্পে থাকা ১০টি লাশের মধ্যে স্বজনদের কাছে চারটি লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। লাশ হস্তান্তরের সময় প্রত্যেকের পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার করে টাকা দেয়া হচ্ছে।
কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কে এম হুমায়ুন কবির বলেন, কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনজন মারা গেছে। ২৯ জনকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে দুই-তিনজন ছাড়া বেশির ভাগই গুরুতর আহত।
কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. রাশেদুল কাওসার ভুইয়া জীবন বলেন, দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে উদ্ধার কাজ করছি। উভয় ট্রেনের যাত্রীদের খাবার ও যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বায়েক শিক্ষা সদন উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি অস্থায়ী তথ্য কেন্দ্র খোলা হয়েছে ও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ উল আলম বলেন, ট্রেন দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে এবং নিহত পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে।