সৎ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতির ধারক – আখ্যা দিয়ে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরীকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। যুব উন্নয়ন সংগঠন ধ্রুবতারা ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন তাঁকে এ সম্মাননা প্রদান করে।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে ন্যাশনাল ইয়ুথ কংগ্রেস অনুষ্ঠানে বিভিন্নক্ষেত্রে সম্মাননা প্রদান করা হয়। পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সম্মাননাপ্রাপ্তদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।
ফাউণ্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ড. নজরুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অমিয় প্রাপন চক্রবর্তী অর্কর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন – অর্থনীতিবিদ ড. খালিকুজ্জামান, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্ঠা রাশেদা কে চৌধুরী প্রমুখ।
সিলেটের জনপ্রিয় রাজনীতিবীদ শফিকুর রহমান চৌধুরী ৭০ দশকে সিলেটের রাজনীতিতে ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন । যুক্তরাজ্যে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নিয়ে দলকে করেন সুসংগঠিত । ২০০৮ সালের নির্বাচনে সিলেট-২ আসনে বিএনপির ডাকসাইটে প্রার্থী ইলিয়াস আলীকে
হারিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। এ পর্যন্ত পরিচ্ছন্ন এ রাজনীতিবিদকে নিয়ে এবারের সম্মেলনে তাঁর শুভাকাঙ্খীদের প্রত্যাশা ছিলো তিনি সভাপতি না হলেও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হবেন।
তেমনটা না হওয়ায় এখন সর্বত্র একই আলেচনা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কখনও ভুল সিদ্ধান্ত নেন
না । শেখ হাসিনা শফিক চৌধুরীকে মুল্যায়ন করবেন এমনটা প্রত্যাশা দলীয় নেতা-কর্মীদের। বর্তমান রাজনীতির প্রেক্ষাপটে ব্যতিক্রম এক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব শফিকুর রহমান চৌধুরী। যিনি রাজনীতির মাধ্যমে দলীয় আদর্শ রক্ষা আর সমাজসেবার অনন্য দৃষ্টান্ত রেখে চলেছেন। সকাল থেকে গভীর রাত, যাঁর সারাটা দিন কর্মব্যস্ত থাকে নিজ নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন কর্মকান্ড, দলীয় আর সমাজসেবী কার্যক্রমে। যতোই গভীর রাতে বিছানায় শুতে যান না কেন, খুব সকাল থেকেই আবারো নিজের ড্রইং রুমে চলে আসেন মানুষের ডাকে। কর্মব্যস্ত দিনের শুরুটা এভাবেই, তারপরও গভীর রাতে বাইরে থেকে ফিরেও যখন অপেক্ষমান মানুষদের দেখেন তখন চেহারার ক্লান্তির ভাবটুকু হাসিতে ঢেকে রেখে আবারো বসে পড়েন তাদের কথা শুনতে। এলাকার লোকজনের নানা সমস্যার কথা শুনে তা সমাধানের যথাসম্ভব চেষ্টা করেন।
মানুষের কোন শ্রেণী ভেদাভেদ করেন না তিনি। অত্যন্ত উদার আর আন্তরিক মানসিকতার এই ব্যক্তিটি মানুষের পাশে থাকার একটি হৃদ্যভাব গড়ে তুলেছেন। যার কারণে, সকলেই খুব সহজে তার সাথে মিশে যেতে পারেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত আস্থাভাজন এই ব্যক্তি নির্লোভ আর সততার অনন্য বৈশিষ্ঠ্য নিয়ে সাধারণ মানুষের মতই জীবনযাপনে অভ্যস্ত। জননেত্রী শেখ হাসিনার আস্থার প্রতিদান হিসেবে দলের কার্যক্রম আরো শক্তিশালী আর বেগবান করা এবং মানুষের ভালোবাসার প্রতিদান হিসেবে তাদের মঙ্গলের কিছু করাই তার জীবনের লক্ষ।
শফিকুর রহমান চৌধুরী বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের বাইশঘর গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। সমাজসেবা আর রাজনৈতিক সক্রিয়তার পারিবারিক আবহে তাঁর বেড়ে ওঠা। পিতা মরহুম আব্দুল মতলিব চৌধুরী যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং বিলাতের বাঙালী কমিউনিটির প্রথম সারির নেতা। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের ১ম সম্মেলন তাদের পারিবারিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দিলশাদ রেষ্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বড় ভাই মরহুম মতিউর রহমান চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধের সময় বিলাতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে গঠিত এ্যাকশন কমিটির সদস্য হিসাবে বিলাতে আন্দোলন-সাংগ্রাম করেন। মেজো ভাই আতাউর রহমান চৌধুরী বর্তমানে বিলাতের বাঙালি কমিউনিটির প্রথম সারির নেতা ও ব্রিকলেন মসজিদের সভাপতি।
শফিকুর রহমান চৌধুরী রাজনীতিতে আসেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপ্রেরণায়। ১৯৬৯ সনে গণঅভ্যুত্থানের সময় সিলেট এইডেড হাই স্কুলের ছাত্র হিসাবে শফিকুর রহমান চৌধুরী ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। পরবর্তীতে চান্দভরাং হাই স্কুল থেকে এসএসসি এবং তৎকালীন সরকারি এম.সি. উচ্চ মাধ্যমিক মহাবিদ্যালয় থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে এম.সি. কলেজে বি.এ. পড়ার সময় তিনি জেলা ছাত্রলীগের অন্যতম শীর্ষনেতা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি এম.সি. কলেজ ছাত্রলীগের জ্যেষ্ঠ নেতা এবং জেলা ও কেন্দ্রীয় জাতীয় পরিষদের সদস্য হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেন। একইসাথে তিনি একজন ক্রীড়াপ্রেমী এবং সফল সংগঠক। সিলেটের ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান স্পোর্টি ক্লাবের সভাপতি এবং টিলাগড় ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক, সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন । বর্তমানে তিনি টিলাগড় ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা পদে আসীন রয়েছেন।
ছাত্রজীবন থেকেই গণতান্ত্রিক আর ন্যায্য দাবি আদায়ের আন্দোলন সংগ্রামে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছেন। যার কারণে একাধিকবার কারাবরণ করেন স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্ত থাকার কারণে। এছাড়াও ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ জানানোর অপরাধে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ছাত্রলীগের দুর্দিনের কান্ডারী ছিলেন তিনি। তরুণ ছাত্রকর্মীদের নিয়ে জেলা ছাত্রলীগকে সংগঠিত করে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে সিলেটে আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন যার জন্য তাকে কারাবরণ করতে হয়েছিল। সত্তর দশকের শেষ দিকে জিয়াউর রহমানের স্বৈরশাসন বিরোধী আন্দোলন এবং সে সময়কার পার্লামেন্ট ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও তিনি ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৮০ সালে প্রেসিডেন্ট জিয়ার শাসনামলে
গণতান্ত্রিক সংগ্রামে অংশগ্রহণের কারণে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। বারবার জেলে যাওয়ার কারণে বি.এ. পরীক্ষায় অংশগ্রহনের সুযোগ হয়ে ওঠেনি। এম.সি. কলেজের ছাত্র থাকাকালীনই শফিকুর রহমান চৌধুরী পিতা-মাতার সাথে বিলাত চলে যান। সেখানে গিয়ে ডিপ্লোমা এবং ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্স সম্পন্ন করেন। পিতার ব্যবসা দেখাশোনা করার পাশাপাশি বিলাতের লেবার পার্টি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
১৯৮০ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার স্নেহধন্য হন। তাঁদের সাথে তিনি বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের হত্যার বিচার, বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করতে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত ছাড়াও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে চষে বেড়ান। সেসময় তাঁর ভূমিকা ছিল অত্যন্ত প্রশংসনীয়। যুক্তরাজ্যে ৭১’এর ঘাতক দালাল নিমূল কমিটি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ নানা সংগঠনকে প্রতিষ্টার ক্ষেত্রেও তিনি ভূমিকা রাখেন। প্রবাসীদের উন্নয়ন আর দাবি আদায়ের বিভিন্ন আন্দোলনে সোচ্চার ও অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তিনি যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ ইয়্যূত অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা, বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এবং চেয়ারম্যান হিসাবে বিভিন্ন মেয়াদে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন।
যুক্তরাজ্যে রেস্টুরেন্ট ব্যবসার উন্নয়ন ও স্বার্থ রক্ষায় বিভিন্ন সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়াও বাঙালী রেষ্টুরেন্টদের দিয়ে বিভিন্ন মেলা আয়োজনের সূচনালগ্নে জড়িত আছে তাঁর নাম। বিশেষভাবে বলতে হয় লন্ডনে বৈশাখী মেলা, বাংলা টাউন, আলতাব আলী পার্কে শহীদ মিনার নির্মানেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা রাখেন। বৃটেনের বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, অন্যদিকে দেশে প্রবাসীদের হয়রানি নির্যাতনের বিরুদ্ধে, প্রবাসীদের দ্বৈত নাগরিকত্ব ও ‘নো ভিসা রিকোয়ার্ড’ সার্টিফিকেট নিখরচা করা, বিমানের হয়রানি বন্ধ, প্রবাসী এস.মিয়া হত্যার বিচার, প্রবাসে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, সিলেট বিভাগ আন্দোলন, প্রবাসীদের ভোটাধিকার ইত্যাদি ইস্যুতে কার্যকর আন্দোলন করে তিনি জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। সেখানেও অক্লান্ত পরিশ্রম আর মানুষের পাশে থেকে কাজ করে তিনি সর্বস্তরের ভালোবাসা পেয়েছেন।
সর্বশেষ তিনি যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনকালীন সময় ২০০৪ সালে দেশে এসে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। প্রবাসীদের ভালোবাসা এবং প্রেরণায় উদ্ধুদ্ধ হয়ে নিজ জন্মস্থান বিশ্বনাথ উপজেলা ও বালাগঞ্জ উপজেলা সংযুক্ত সিলেট-২ আসন থেকে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেন। এখানকার সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে এবং আসনটি পুনরুদ্ধার করে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করাও ছিল তার অন্যতম লক্ষ। দেশে ফিরে রাজনীতিতে আবারও নিজের অবস্থান বিকশিত করতে গিয়ে প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন। কথিত ১/১১ চলাকালীন সময়ে বটেশ্বরস্থ বাসায় জরুরী এক অনুষ্ঠান থেকে তাঁকে প্রবাসী নেতৃবৃন্দ, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, পরিবারের সদস্যসহ ৪০ জনকে আটক করা হয়। এরপর জরুরী আইনের নামে বিনা অপরাধে ৪ মাস ২২ দিন জেল নির্যাতন ভোগ করেন।
বৃটিশ নাগরিকত্ব বর্জন করে ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং জয়লাভ করার পর বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে তিনি একাধিকবার প্রবাসীদের ভোটাধিকারের জন্য প্রশ্ন উত্থাপন করেন। বর্তমান সংসদে প্রবাসীদের ভোটাধিকার আইন পাশ হয়েছে। তাঁর নিরলস কার্যক্রম ও তৎপরতায় নির্বাচনী এলাকায় অনুকূল রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক এবং উন্নয়মুখী পরিবেশ ও আবহের সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের প্রতি রয়েছে গভীর সহমর্মিতা ও সহানুভূতি, যার ফলে প্রতিদিন ভোর হতে গভীর রাত পর্যন্ত মানুষের যেকোনো সমস্যায় পাশে দাড়ানো, সহযোগিতা প্রদানে কাজ করে যাচ্ছেন। নিজ নির্বাচনী এলাকার বন্যা দূর্গত এলাকায় সময়মতো ত্রাণ নিয়ে পৌছানো। বন্যার্তদের সাহাযার্থে, দরিদ্র, অসহায় রোগী ও ক্যান্সার রোগী, নদী ভাঙ্গনের শিকার পরিবার তথা গৃহহীন মানুষের পাশে দাড়ানো এবং তাদের পূর্নবাসনের লক্ষ্যে অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেছেন।
মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি তাঁর গভীর শ্রদ্ধা ও সম্মান রয়েছে। যে কারণে তাদের যেকোনো ক্ষেত্রে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে কখনোই কার্পণ্য করেন না ।
বিভিন্ন উপলক্ষ্যেও তাদের মাঝে বস্ত্র ও নগদ অর্থ বিতরণ করেছেন। শহীদ পরিবারদের প্রতিও তার রয়েছে সহমর্মিতা, তাদের যেকোন প্রয়োজনে সাহায্যের
হাত বাড়িয়ে দেন। বালাগঞ্জ-ওসমানীনগরে ও বিশ্বনাথে ’৭১ এর গণহত্যার বধ্যভূমি সমুহে স্থায়ী স্মৃতি রক্ষার্থে ৫টি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করেছেন ।
ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা গ্রহনে বিশেষ অনুপ্রেরণা ও শিক্ষকমহলকে শিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে অত্যন্ত যত্নবান হওয়ার জন্য সবসময় পরামর্শ দেন। তাই
বিভিন্ন উৎসব কিংবা জাতীয় অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষনীয় বই বিতরণ করে থাকেন। সাংসদ থাকা অবস্থায় সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত ব্যক্তিগত
তহবিলের টাকা তিনি প্রদান করেন বিশ্বনাথ-বালাগঞ্জ উপজেলার হতদরিদ্র ব্যক্তি, অস্বচ্ছল ছাত্র, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, রোগীসহ বিভিন্ন স্কুল কলেজের ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারীদের মাঝে।
১৯৮৫ সালে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের মেয়ে তাহমিনা আক্তার চৌধুরীকে বিয়ে করেন। ব্রিটেনে বসবাসরত সেতু, সুধী ও সূচি নামের তিন কন্যা সন্তানের গর্বিত জনক তিনি। গণমানুষের কাছের মানুষ শফিকুর রহমান চৌধুরী তাঁর রাজনৈতিক ও সমাজিক কর্মকান্ডে প্রবাসীদের সমস্যার সমাধানে একনিষ্ট ও প্রতিশ্রুতিশীল। জননেত্রী শেখ হাসিনার পরীক্ষিত সৈনিক হিসেবে তিনি সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে, সিলেটের আওয়ামী রাজনীতিতে প্রাণের সঞ্চার এসেছে। দীর্ঘদিনের স্থবিরতা কাটিয়ে জেলা আওয়ামী লীগ ইতোমধ্যে বেশ গতি অর্জন করেছে।
নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ, নিয়মিত সভা-সমাবেশ, নতুন কমিটি গঠনসহ দলীয় কার্যক্রমে তিনি বেশ সক্রিয়। দলের জন্য অত্যন্ত নিবেদিতপ্রাণ শফিক চৌধুরী নেতাকর্মী আর মানুষের কাছে ‘২৪ ঘন্টার রাজনীতিবিদ’ হিসেবে পরিচিত। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের খাঁটি সৈনিক আর জননেত্রী শেখ হাসিনার অনুগত শফিক চৌধুরী মাটি ও মানুষের জন্য নিজের জীবন সমর্পন করতে চান। যদিও নেতাকর্মীদের অবাক করে দিয়ে ৫ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ঘোষিত সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বে ঠাঁই হয়নি জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরীর। তবে তাঁর প্রতিঅসংখ্য নেতাকর্মীদের ভালবাসা প্রতিনিহত সিলেট বাসী প্রত্যাক্ষ করছে।