ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম মল্লিকপুর গ্রামের মরহুম আব্দুল খালিক মিয়ার ছেলে নাহিদ সুলতান পাশার বাড়ীতে একদল কুখ্যাত সন্ত্রাসী রাত আনুমানিক ১০.৩০ মিনিটের সময় অর্তকিত ভাবে হামলা চালিয়ে তিনটি মোটর সাইকেল ও তাহার পাশের দুই বাড়ী সহ আশে পাশের কয়েকটি বাড়ীতেও ভাংচুর করে এবং ঘরের ভিতরে একটি বাক্স ভেঙ্গে ১৫ ভরি সর্ণালঙ্কার ও নগদ দুইলক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন পাশা।
সরেজমিনে সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে পাশা বলেন- প্রায় দু-সপ্তাহ পূর্বে তিনি মাদকবিরোধী আন্দোলন করলে উপরোক্ত ব্যক্তিরা তার বিরুদ্ধে ক্ষেপে উঠলে স্থানীয় মুরব্বিরা বিষয়টি সমাধান করেন, সমাধান করলেও সেই বিষয়ের সূত্রপাতে আমাকে গতকাল আনুমানিক রাত ১০.৩০ মিনিটে অর্তকিত হামলা চালায় বলে জানিয়েছেন ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও সাংবাদিক নাহিদ সুলতান পাশা।
পাশা আরো জানান- তার বাড়িতে তৈরি করা ব্যক্তিগত কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী ও শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ভেঙে ফেলে। সেখানে থাকা আরও কিছু কম্পিউটার সামগ্রী ও টেবিল ভাঙ্গা হয় এবং হামলাকালীন সময়ে তার ঘরের দেয়াল ভেঙে ভেতরে ঢুকে হামলাকারীরা, সেখানে মহিলাদের হুমকি দেয় এবং তাদের অশ্লীল কথাবার্তা বলা হয় বলে জানিয়েছেন পাশা।
একই সময়ে পাশের বাড়ির আলমারি, টেলিভিশন, সাইকেল সহ বেশ কিছু সরঞ্জাম ভেঙে ফেলে হামলাকারীরা। এমনকি রেহাই পায়নি ছোট একটি শিশুও। তাকেও মারার হুমকি দেয় বলে জানান ভুক্তভোগী। সেই বাড়িতে থাকা প্রায় ৫০ হাজার টাকাও ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
নাহিদ সুলতান পাশা জানান- ঘটনার সাথে যুক্ত ছিলেন- ১। আবিল মিয়া (৫০), ২। ইউসুফ মিয়া (৪৮), ৩। শিবলু মিয়া (২৮), ৪। টিপু মিয়া (২৬), ৫। সুহেল মিয়া (২২), ৬। আনিছ মিয়া (৩০), ৭। আরিফ মিয়া (২৫), ৮। শরিফ মিয়া (২২), ৯। অলি মিয়া (৫০), ১০। আবুল কালাম (৩০), ১১। আনোয়ার হোসেন (৩৩), ১২। আলমগীর মিয়া (২৮), ১৩। সর্বসাং- পশ্চিম মল্লিকপুর। ১৪। মোহাম্মদ আলী (৪৮), ১৫। ছালিক মিয়া (৪০), ১৬। আসুক মিয়া (৩৫) উভয় সাং- নুরপুর এবং অজ্ঞাত আরও কয়েকজন ব্যক্তি।
উল্লেখ্য : এই রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন সাংবাদিক নাহিদ সুলতান পাশা।