রবিবার, ১৯ মে ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Sex Cams

আমেরিকায় নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে প্রবীণদের প্রণোদনা চুরির অভিযোগ



আমেরিকায় নার্সিংহোমে থাকা হাজারো প্রবীণের নামে পাঠানো প্রণোদনা অর্থের চেক জোর করে হোম পরিচালনা পরিষদে দিতে প্রবীণদের বাধ্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রবীণদের স্বজনদের অভিযোগ নিয়ে ফেডারেল ট্রেড কমিশন এই তথ্য জানিয়েছে।

১৫ মে এক বিজ্ঞপ্তিতে ফেডারেল ট্রেড কমিশন জানায়, হোমে থাকা প্রবীণেরা মেডিকেটে থাকায় প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ প্রবীণদের প্রাপ্য প্রণোদনা নিজেদের কাছে রেখে দিচ্ছে। প্রবীণদের দেওয়া এসব অর্থ কেয়ারস অ্যাক্টের অধীনে ট্যাক্স মওকুফের পাওনা। ব্যক্তি কর আইনে ফেডারেল সরকারের দেওয়া অর্থ গতানুগতিক বেনিফিট বলে ধরা হবে না। এই আইন বলে সরকার প্রদত্ত অনুদান কেউ ফেরত নিতে পারে না।

ফেডারেল ট্রেড কমিশন নার্সিংহোমে থাকা প্রবীণদের প্রাপ্ত প্রণোদনার খোঁজ নিতে স্বজনদের অনুরোধ করেছে। যাঁরা সরকারের দেওয়া প্রণোদনা চেক বিভিন্ন নার্সিংহোমের অফিসে জমা দিয়েছেন, তাঁদের অবিলম্বে রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস বা ফেডারেল ট্রেড কমিশনে অভিযোগ দাখিল করতে বলা হয়েছে। করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে আমেরিকায় মোট মৃত্যু সংখ্যায় ৩৫ শতাংশের বেশি ছিলেন গড়ে ৮৫ বছরের বেশি প্রবীণেরা। এর পরই আছেন ৮৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সীরা, ৪৬ শতাংশ। সর্বশেষ ৬৪ বছর থেকে ২০ বছর বয়সীদের মৃত্যু হার ২০ শতাংশ। এ ছাড়া সংক্রমিত প্রবীণদের প্রতিও মানবিক আচরণ করা হয়নি। সরকারি নানা সংস্থার অনুসন্ধানে নার্সিংহোমে বয়স্কদের সেবা ও চিকিৎসায় চরম অবহেলার চিত্র ধীরে ধীরে প্রকাশ পাচ্ছে। শুধু নিউইয়র্ক নগরীর শত শত নার্সিংহোমের মোট প্রবীণের ১৪ শতাংশ মারা যায় চিকিৎসা সুবিধা ছাড়াই। তাঁদের মৃতদেহ ফ্রিজ ট্রাকে বা সাধারণ ইউ হাল ট্রাকে স্তূপ করে রাখা হয়েছে।

সর্বশেষ যে বিষয় নিয়ে নগরের প্রধান মেডিকেল এক্সামিনার অফিস এখনো কাজ করে যাচ্ছে তা হলো, মারা যাওয়া প্রবীণদের স্বজনেরা সৎকারের জন্য এগিয়ে আসেননি। আর এখন শুরু হয়েছে প্রবীণদের প্রাপ্ত প্রণোদনার অর্থ বেহাত হয়ে যাওয়া। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেসব প্রবীণ মারা গেছেন এবং যাঁরা জীবিত আছেন তাঁদের স্বজনদের সজাগ থাকতে অনুরোধ জানিয়েছে।

শেয়ার করুন:

প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

error: Content is protected !!