ফরিদপুরে ২১টি দোনালা বন্দুকের গুলিসহ এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। আজ রোববার (২৩ আগস্ট) বিকেলে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে জেলার মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে সোপর্দ করা হয় তাকে। আদালত আগামী মঙ্গলবার রিমান্ডের শুনানির দিন ধার্য করে আওয়ামী লীগ নেতা বাদশা মন্ডলকে জেলহাজতে পাঠান।
এর আগে শনিবার (২২ আগস্ট) দিবাগত রাতে সদর উপজেলার চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের চরবালুধুম এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার আওয়ামী লীগ নেতার নাম বাদশা মন্ডল (৬২)। তিনি সদর উপজেলার চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের চরবালুধুম এলাকার মৃত আলাউদ্দিন মন্ডলের ছেলে।
বাদশা মন্ডল ফরিদপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা।
ফরিদপুর ডিবি পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বাদশা মন্ডল তার বাড়িতে মাদকের আসর বসিয়েছেন এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। পরে তার বাড়ি তল্লাশি করে ২১টি দোনালা বন্দুকের গুলি উদ্ধার করা হয়।
বাদশা মন্ডল দাবি করেন, আগে তার একটি দোনালা বন্দুক ছিল। ওই বন্দুকের লাইসেন্স গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে বাতিল করে জেলা প্রশাসন। তখন ওই বন্দুকের সাথে তিনি গুলিগুলো জমা দেননি।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বাদশা মন্ডল থানা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক হওয়ার পর এলাকায় স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে একটি মামলা চলমান। অভিযোগ রয়েছে, তিনি মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। অভিযোগ রয়েছে, তার বসতবাড়িতেও মাদকের আসর বসে।
একটি সূত্র জানায়, অনেক সম্পত্তির মালিক বাদশা মন্ডল। নিজের বাড়ি ছাড়াও ঢাকায় তার আটতলাবিশিষ্ট একটি ভবন ও সদরঘাট এলাকায় একটি খাবার হোটেলসহ আবাসিক হোটেল রয়েছে। পুলিশের একটি সূত্র জানায়, বাদশা মন্ডল এত সম্পত্তির মালিক কীভাবে হলেন তা খতিয়ে দেখা হবে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুনীল কর্মকার বলেন, লাইসেন্স বাতিল হওয়ার পর বন্দুকের সাথে গুলিগুলো জমা না দিয়ে আইনগত অপরাধ করেছেন। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে অস্ত্র আইনে একটি মামলা করা হয়েছে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায়।