সিলেটের আসন্ন ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনের আর মাত্র দুই সপ্তাহ বাকী। এখন পুরোদমে চলছে নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা। তবে নির্বাচনকে ঘিরে তেমন কোন আমেজ বা উৎসাহ দেখা যাচ্ছে না কারো কাছে।
ইতোমধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে বিএনপি ও বামদলগুলো নির্বাচন বর্জন করেছে। এতে অনেকটাই ভাটা পড়েছে উপজেলা নির্বাচনের উৎসবে। বেশিরভাগ জায়গায় নেই নির্বাচনী আমেজ। যে কয়েকটি জায়গায় নির্বাচনী আমেজ আছে, তাও আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহীদের’ কারণে। যদি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী না থাকতেন, তাহলে হয়তো ভোটের মাঠে নির্বাচনের আমেজ আরো কমে যেত।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছাড়া সাধারণ মানুষের মধ্যে তেমন একটা আগ্রহ নেই। এর কারণ ভোটাররা এখন মনে করে ‘তাদের ভোট কোন কাজে লাগবে না’। সেই কারণে মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ থেকে বিরত থাকছে। অথচ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশন ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে ১ মার্চ জাতীয় ভোটার দিবস হিসেবে পালন করেছে। কিন্তু এতে কি মানুষ ভোট দিতে আগ্রহী হবে?
কয়েকবছর আগেও নির্বাচনের পুরো মৌসুম উৎসবের রঙ পেত। প্রার্থীরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াতেন। সকাল-সন্ধ্যা মিছিলে মিছিলে মুখরিত থাকতো নির্বাচনী এলাকা। বাহারি স্লোগানে এলাকা মাতিয়ে রাখতেন শিশু-কিশোর-বৃদ্ধ সবাই। ভোটারদের নানাভাবে বুঝিয়ে ভোট কেন্দ্রে নেওয়া হতো। আর এখন তার উল্টো। তাইতো কোন আমেজ নেই আসন্ন ভোটে।
এদিকে নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন – সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম (স্বতন্ত্র), শাহ মুজিবুর রহমান জখন (আওয়ামী লীগ মনোনিত), ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী সুফি (স্বতন্ত্র), মাওলানা হারুনুর রশিদ (আন্জুমানে আল ইসলাহ), হারুন আহমদ (স্বতন্ত্র), মনির আলী নানু ও মাহতাব উদ্দিন আহমদ।
তবে এতো চেয়ারম্যান প্রার্থী এই প্রথম হলে ও নেই কোন আমেজ বা উৎসাহ। নেই ভোটারের মধ্যে কোন আলাপ আলোচনা।