নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত-আহত ৩৭ পরিবারের প্রত্যেকে ৫ লাখ টাকা করে দিতে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী ৩৭ পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে বিবাদীদের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
জরুরি প্রয়োজন হিসেবে সাত দিনের মধ্যে তিতাসকে ওই অর্থ (৫ লাখ) দিতে বলা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসককে ভুক্তভোগী ৩৭ পরিবারের মধ্যে অর্থ বিতরণ করতে বলা হয়েছে।
আজ বুধবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুলসহ এই আদেশ দেন।
মসজিদে বিস্ফোরণে নিহত ও দগ্ধ ব্যক্তিদের প্রত্যেককে ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশনা চেয়ে নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আইনজীবী মার-ই-য়াম খন্দকার গত সোমবার ওই রিটটি করেন। এর ওপর শুনানি নিয়ে আজ আদেশ দেওয়া হয়।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তৈমুর আলম খন্দকার। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর উস সাদিক।
রুলে ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী ৩৭ পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে বিবাদীদের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
পরে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা মিডিয়াকে বলেন, হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে। কেননা ঘটনা তদন্তে একাধিক তদন্ত গঠন করা হয়েছে। কমিটির রিপোর্ট এখনো আসেনি। কে দায়ী তা নিরূপণ হয়নি। এসব বিবেচনায় আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে।
৪ সেপ্টেম্বর রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হন ৩৭ জন। দগ্ধ ব্যক্তিদের ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। একজন সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন।
সুত্রঃ প্রথম আলো