ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার ঘিলাছড়া ইউনিয়নের ধারণ গাজীপুর গ্রামে। ঘটনার স্বীকার শিশু ও তার বড়বোন জানান- মঙ্গলবার ২০ অক্টোবর দুপুর ১২ টার দিকে তাদের বাড়িতে কেউ ছিলেন না। শিশুটি বাড়ীতে একাই ছিল। এ সুবাদে জাহেদ আহমদ শিশুটির বাড়িতে গিয়ে থাকে কু প্রস্তাব দেয়। সেই প্রস্তাবে শিশুটি রাজি হয়নি। তখন জাহেদ থাকে জোরপূর্বক জড়িয়ে ধরে এবং তার পরনের জামা-কাপড় খোলার চেষ্টা করে। এতে শিশুটি চেচামেচি ও ধস্তাধস্তি করায় সে দৌড়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাটি তার বোন এবং আত্নীয় স্বজনের কাছে জানায়।
ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। পরে ঘটনা ফেঞ্চুগঞ্জ থানা পুলিশকে অবহিত করলে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফেঞ্চুগঞ্জ থানা পুলিশ এবং ভিকটিমের পরিবারকে থানায় লিখিত অভিযোগ করতে বলেন। সে অনুযায়ী শিশুটির পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তবে অভিযোগপত্রের কোন অনুলিপি বা থানার প্রাপ্তি স্বীকারপত্র ভূক্তভোগীর পরিবার দেখাতে পারেনি।
অভিযোগের রিসিভ কপি ভিকটিমের পরিবারের কাছে চাইলে তারা বলেন- অভিযোগের কপি থানা থেকে তাদেরকে দেয়া হয়নি।
এবিষয়ে ফেঞ্চুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল বাশার মোঃ বদরুজ্জামান বলেন- এবিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি ঘটনার সত্যতা যাচাই বাছাই চলছে। ঘটনা সত্য নাকি মিথ্যা এখনো জানা যায়নি।
৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিন লাল মিয়া জানাান- আমি ধর্ষণের ঘটনা শুনে ভিকটিমের বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর নিয়েছি । ভিকটিম ফেঞ্চুগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গেছে। আবার এখন জানতে পারছি এঘটনা আপোষে নিস্পত্তির চেষ্টা চলছে। অভিযুক্ত জাহেদ একই গ্রামের পার্শ্ববর্তী বাড়ির মৃত সোনাহর আলীর ছেলে। সম্প্রতি সে প্রবাস থেকে দেশে এসেছে। ঘটনার পর থেকে জাহেদ গা ঢাকা দিয়েছে।