ইয়াবার ভয়াবহ বিস্তারে সিলেটে নারীরা আশংকাজনক হারে বাড়ছে। মাদক ব্যবসায়ীরা ইয়াবার আমদানি, সরবরাহ ও বেচাকেনার জন্য নিরাপদ হিসেবে বেছে নিচ্ছে নারীদের। অনেক ক্ষেত্রে পুরুষরা পেরে উঠতে না পেরে তাদের স্ত্রী, মা-বোনদের নামাচ্ছে এ ব্যবসায়।
সম্প্রতি সিলেটে র্যাবের বেশ কয়েকটি অভিযানে ইয়াাবা ও গাঁজাসহ গ্রেফতার হয়েছেন মাদক সম্রাজ্ঞীরা। আর মাদক ব্যবসার জন্য তারা বেশিরভাগেই বেছে নিচ্ছে আবাসিক এলাকাগেুলোকে।
জানা যায়- বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) সিলেটে ‘ইয়াবা সুন্দরী’ হিসেবে পরিচিত রোকসানা আক্তার নামে এক নারী মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে র্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে ২৮ হাজার ৮০০ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত রোকসানা আক্তার জকিগঞ্জ উপজেলার এওলাসার গ্রামের আবদুল হামিদ চৌধুরীর স্ত্রী। শাহজালাল উপশহরের একটি আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব জানায়- বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে র্যাব-৯ এর একটি দল নগরীর শাহজালাল উপশহর এলাকায় অভিযান চালায়। ওই সময় রোকসানা আক্তারকে ২৮ হাজার ৮০০ ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়। ‘ইয়াবা সুন্দরী’ হিসেবে পরিচিত রোকসানা দীর্ঘদিন ধরে সিলেট নগরীর বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা বিক্রি করতেন। উদ্ধার করা ইয়াবাসহ তাকে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের শাহপরাণ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ওইদিন রাত সোয়া আটটার দিকে অপর এক অভিযানে উপশহরস্থ বি-ব্লকের একটি বাসা থেকে মনোয়ারা বেগমকে (৩৪) গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ২০০ পিস ইয়াবসহ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মোছা.মনোয়ারা বেগম (৩৪) জকিগঞ্জ থানার গংগারজল এলাকার মো.জালাল উদ্দিন তাপাদারের স্ত্রী।
এদিকে শুক্রবার (৩০ জানুয়ারি) হবিগঞ্জের মাধবপুর এলাকা থেকে গাঁজাসহ এক দম্পতিকে গ্রেফতার করে র্যাব-৯।
শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মাধবপুর থানাধীন বেজুড়া সাকিনস্থ এলাকায় সুনামগঞ্জ এক্সপ্রেস থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ১৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে র্যাব।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন নরসিংদী জেলার আড়াই হাজার থানার বামুন্দি গ্রামের মৃত মো.কালু মিয়ার ছেলে মো.মতিউর রহমান (৫৫) ও ফাতেমা বেগম(৫০),স্বামী মো.মতিউর রহমান। তারা দুজনেই বর্তমানে গাজীপুর জেলার খরতৈল এলাকার বাসিন্দা।