বাংলাদেশে স্বাধীনতা-পরবর্তী একটি প্রজন্মকে রীতিমতো কাঁপিয়েছেন তিনি। ১৯৭১ সালের পর আজম খান ‘উচ্চারণ’ নামে একটি ব্যান্ড প্রতিষ্ঠা করেন। উচ্চারণের গান সঙ্গীত জগতে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। ১৯৭২ সালে বিটিভিতে একটি গানের অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার মাধ্যমে আজম খানের গান তরুণদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। সেই অনুষ্ঠানের ‘এত সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে না রে’ ও ‘চার কালেমা সাক্ষী দেবে’ গান দুটি সরাসরি প্রচার হয়। ব্যাপক প্রশংসা আর তুমুল জনপ্রিয়তা এনে দেয় এ দুটো গান। দেশজুড়ে পরিচিতি পায় তাদের গান। ১৯৭৪ সালে তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনে আরেকটি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ (রেললাইনের ওই বস্তিতে) শিরোনামের গানটি গেয়ে হৈচৈ ফেলে দেন।
আজম খানের জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, ওরে সালেকা, ওরে মালেকা, আলাল ও দুলাল, অনামিকা, অভিমানী, আসি আসি বলে ইত্যাদি। ব্যক্তিগত জীবনে সহজ সরল জীবনযাপন করতেন তিনি। ১৯৭১ সালে একজন সক্রিয় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ঢাকায় সংঘটিত কয়েকটি গেরিলা অভিযানে অংশ নেন আজম খান। ১৯৮২ সালে ‘এক যুগ’ নামে আজম খানের প্রথম অডিও অ্যালবাম বাজারে আসে। তার একক অ্যালবাম সংখ্যা ১৭ এবং দ্বৈত ও মিশ্র অ্যালবাম ২৫টির বেশি। ২০১১ সালের ৫ জুন সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান আজম খান।