রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দয়ামীরে বঙ্গবীর এমএজি ওসমানী মেমোরিয়াল ট্রাস্টের উদ্যোগে ওসমানীর মৃত্যুবার্ষিকী পালিত



মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল এমএজি ওসমানীর ৩৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। ১৬ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার এ উপলক্ষে ওসমানী নগরের দয়ামীর জলাল পাড়াস্থ তাঁহার নিজবাড়ী বাড়ীতে বঙ্গবীর এমএজি ওসমানী মেমোরিয়াল ট্রাস্টের উদ্যোগে খতমে কুরআন, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

মাহফিলে সিলেট ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরী, বর্তমান এমপি মুকাব্বির খান, বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাকুর রহমান মফুর, সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দাল মিয়া, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক জগলু চৌধুরী, ওসমানী নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতাউর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দাল মিয়া, আলাউর রহমান আলা, আজিজুর রহমান লকুছ, চঞ্চল পাল, দয়ামীর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম ফখর উদ্দিন, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ, মোঃ নুনু মিয়াসহ বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক এবং নানা শ্রেণি পেশার লোকজন ও এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণ শরিক হন।

এসময় আমন্ত্রিত অতিথিদের স্বাগত জানান, এমএজি ওসমানী পরিবারের সদস্য ও বিশিষ্ট ব্যাংকার টিটু ওসমানী। অনুষ্ঠানে মোনাজাত পরিচালনা করেন হযরত শাহ জালাল ( রহঃ) দরগাহ্ জামে মসজিদের ইমাম হাফিজ মাওলানা হুজাইফা চৌধুরী।

প্রসঙ্গত, এম এ জি ওসমানী ১৯১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা খান বাহাদুর মফিজুর রহমান ও মাতা জোবেদা খাতুন। অসাধারণ মেধাবী ওসমানী ১৯৩৪ সালে মেট্রিকুলেশন পরীক্ষায় ব্রিটিশ ভারতের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেন। এ অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য ব্রিটিশ সরকার তাকে প্রাইটোরিয়া পুরস্কার প্রদান করে।
১৯৩৯ সালে এমএজি ওসমানী রয়েল আর্মড ফোর্স ক্যাডার হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৪২ সালে তিনি মেজর পদে উন্নীত হন এবং তৎকালীন ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর সর্ব কনিষ্ঠ মেজরের পদমর্যাদায় ভূষিত হন। ১৯৬৬ সালে অবসর গ্রহণের পর ১৯৭০ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। ১৯৭০ এর নির্বাচনে ফেঞ্চুগঞ্জ-বালাগঞ্জ-বিশ্বনাথ এলাকা থেকে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত এবং মন্ত্রী হন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি মুক্তিবাহিনীর সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। যুদ্ধ পরিচালনায় তিনি রণাঙ্গনকে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করেন। তাঁর নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনী সুসংগঠিতভাবে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে স্বাধীনতা অর্জনে অপরিসীম ভূমিকা পালন করেন। তিনি ১৯৮৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি তিনি জীনের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

শেয়ার করুন:

প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

error: Content is protected !!