বালাগঞ্জ উপজেলা সদরে সরকারি খাস জমি কেনাবেচা নিয়ে গত রোববার (২১ মার্চ) রাতে বালাগঞ্জ মধ্যবাজারে দু’পক্ষে দফায় দফায় সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় রাধাকোনা এবং করচারপার গ্রামের সুরুজ মিয়া ও মোজাহিদ মিয়ার মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষে ৭জন আহত হয়েছেন এবং দেশীয় অস্ত্রসহ ২জনকে আটক করা হয়েছে বলে সংবাদ পাওয়া গেছে। বালাগঞ্জ থানার অফিসার ইন-চার্জ গাজী আতাউর রহমান এ ব্যাপারে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বালাগঞ্জ থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা সদরের করচারপাড় গ্রামের মোজাহিদ মিয়া মজাই গত কয়েক মাস আগে উপজেলার দিগরবেড়কুড়ি মৌজার সরকারি খাস জমি স্ট্যাম্পের উপর লিখিত দিয়ে রাধাকোনা গ্রামের সুরুজ মিয়া, আজমান মিয়াসহ কয়েকজনের কাছে বিক্রি করেন। এরপর গত ডিসেম্বর মাসে বালাগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ওই সরকারি জমি উদ্ধার করে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পুর্নবাসনের ব্যবস্থা করেন। ক্রয়কৃত ভূমি হাত ছাড়া হলে সুরুজ মিয়া, আজমান মিয়া প্রমুখ বিক্রেতা মোজাহিদ মিয়া মজাই’র কাছে বিকল্প জমি অথবা টাকা ফেরত চান। এ নিয়ে একাধিকবার সংশ্লিষ্ট গ্রাম্য মুরুব্বিদের অবহিত করা হয়, কিন্তু সুরাহা হয়নি।
এ ঘটনার সূত্র ধরে সর্বশেষ গত রোববার (২১ মার্চ) রাত ৯টার দিকে সুরুজ মিয়া মোজাহিদের কাছে টাকা ফেরত চাইলে স্থানীয় বালাগঞ্জ বাজারে দু’পক্ষে কথা কাটাকাটি এবং উভয় পক্ষে একাধিক হামলার ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষে ৭জন আহত হন। এদের মধ্যে আহত ৪জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা এবং বাকিরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। ঘটনায় উভয়পক্ষে আহতরা হলেন, সুরুজ মিয়া, কালাম মিয়া, আজমান মিয়া, মোজাহিদ মিয়া (মজই), সুয়েব মিয়া প্রমুখ।
সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে বালাগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ ২জনকে আটক করে। সংঘর্ষে আহত আজমান মিয়া বাদি হয়ে সোমবার (২২ মার্চ) বালাগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-০৩, তারিখ ২২মার্চ ২০২১ ইং।
এ ব্যাপারে আলাপকালে বালাগঞ্জ থানার অফিসার ইন-চার্জ গাজী আতাউর রহমান সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, দেশীয় অস্ত্রসহ আটকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। সংঘর্ষে আহত আজমান মিয়া বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন এবং অপর পক্ষেও মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।