বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইভা ফ্যাশন শপ বিডি’র প্রতারনার শিকার দক্ষিণ সুরমার এক প্রবাসীর স্ত্রী



দক্ষণ সুরমার এক প্রবাসীর স্ত্রী অনলাইনে ইভা ফ্যাশন শপ বিডি’র ফেসবুক আইডিতে দেখতে পান ইন্ডিয়ান থেকে আমদানীকৃত প্রিমিয়াম মানের ইন্ডিয়ান শাড়ী, থ্রি পিচ, লেহেঙ্গা সহ বিশাল মূল্যছাড় দেয়া হয়েছে।

এটা দেখে সরল মনে বিশ্বাস করে প্রবাসীর স্ত্রী গত ৯ জুন ০১৭৮৭ ৬১৮৮২৯ নাম্বারে ফোন করে মিষ্টি কালারের দু’টি রাউন্ড লং ড্রেস এর অর্ডার দেন। প্রতিটি ড্রেসের মূল্য ১৫৫০ টাকা করে, মোট ৩১০০ টাকা। এ সময় ইভা ফ্যাশন শপ বিডি থেকে জানানো হয় উক্ত নাম্বার কুরিয়ার সার্ভিস চার্জ বাবদ ১৫০ টাকা বিকাশে পাঠিয়ে দিন। আগামীকাল ডেস পাবেন। কুরিয়ার সার্ভিস থেকে ড্রেস গ্রহণের সময় ড্রেসের মূল্য ৩১০০ টাকা জমা দিবেন।

অর্ডার অনুযায়ী ১০ জুন বৃহস্পতিবার এস.এ. পরিবহন কদমতলী বাস টার্মিনাল সিলেট শাখা থেকে সকালে ফোন দিয়ে জানানো হয় প্রবাসীর স্ত্রীর ড্রেস এসেছে। ফোন পেয়ে দুপুরে গিয়ে ড্রেসের মূল্য ৩১০০ টাকা পরিশোধ করে ড্রেসের পেকেট বুঝে নেন। এ সময় এস.এ. পরিবহনের অফিসে প্রবাসীর স্ত্রী প্যাকেট খুলে দেখতে পান দু’টি ড্রেসের পরিবর্তে ২টি নিন্মমানের শাড়ি ও একটি ক্যাশ মেমো রয়েছে। ক্যাশ মেমোটি ঢাকার মহাখালিস্থ এস.কে টাওয়ারের ৩য় তলার ৩৩৯/বি ‘শাড়ি বাজার’ দোকানের। শাড়ি দুটির বর্তমান বাজার মূল্য ৪/৫ শত টাকা হতে পারে।

এ সময় প্রবাসীর স্ত্রী এস.এ. পরিবহনের কর্মরত ব্যক্তিদের বিষয়টি জানান এবং মাল ফেরত নিতে বলেন। কিন্তু তারা বলেন- মাল ফেরত নেয়ার কোন নিয়ম নেই। আপনি যার কাছে ড্রেসের অর্ডার দিয়েছেন তার সাথে যোগাযোগ করুন।

পরে বাড়িতে গিয়ে প্রবাসীর স্ত্রী ০১৭৮৭ ৬১৮৮২৯ নাম্বারে ফোন করে বিষয়টি জানান। ইভা ফ্যাশন শপ বিডি কর্তৃপক্ষ ড্রেসের পরিবর্তনে শাড়ী পাঠানোর জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেন- আপনি অপেক্ষা করুণ, আপনার ড্রেস পাঠিয়ে দিচ্ছি। দু’দিন অপেক্ষার পর প্রবাসীর স্ত্রীর ফোনে যোগাযোগ করলে, তারা খারাপ ব্যবহার করে এবং নাম্বার ব্লক করে দেয়।

দীর্ঘ ১০ দিন ড্রেস পাওয়ার অপেক্ষা করে না পেয়ে নিজ থেকে ইভা ফ্যাশন শপ বিডি-কে ফোন দিলে দেখতে পান তার নাম্বার দিয়ে ফোন যায় না।

এ ব্যাপারে এস.এ. পরিবহনের অফিস স্টাফ মিশু’র সাথে ০১৭৫৫ ৫১২৮৪৩ নাম্বারে আলাপকালে তিনি জানান- অনলাইনে ড্রেসের অর্ডার হয়েছে। ইভা ফ্যাশন শপ বিডি কর্তৃপক্ষের শর্তমোতাবেক আমরা গ্রাহকের কাজ থেকে ৩১০০ টাকা গ্রহণ করেছি। আমাদের কুরিয়ার সার্ভিসের কাজ হলো সার্ভিস দেয়া। যারা মাল পাঠাবে, মালের প্যাকেটের উপর প্রাপকের নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার লিখা থাকে। সেই মোতাবেক আমরা ফোন করে মাল সরবাহ করি। এতে কুরিয়ার সার্ভিস ১৫০ টাকা সার্ভিস চার্জ পায়।

প্রতারণার শিকার প্রবাসীর স্ত্রী বলেন- অনলাইনে এভাবে প্রতারণা করা হয়, তা আমি জানতাম না। সুন্দর সুন্দর কথা বলে ড্রেস বিক্রির অর্ডর নেয়। কিন্তু পরে ক্রেতার সাথে খারাপ ব্যবহার করে। আমার মতো কেউ অনলাইনে জিনিসপত্র ক্রয় করে প্রতারণার শিকার হবেন না। তিনি অনলাইনে প্রতারণার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও আমার টাকা উদ্ধারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানান।

শেয়ার করুন:

প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

error: Content is protected !!