শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দক্ষিন সুরমায় যৌতুকের জন্য স্বামী ও শ্বাশুড়ির নির্যাতনে গৃহবধূ আহত : আটক ১



দক্ষিন সুরমার মোগলাবাজার এলাকার কুচাই ইউনিয়নে যৌতুকের জন্য স্বামী-শ্বাশুড়ির নির্যাতনে অন্না রাণী নাথ নামের এক গৃহবধু আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ৮ জুন মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে সিলেট জেলার মোগলাবাজার এলাকার কুচাই ইউনিয়নের পশ্চিম বাগ গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে ।

মামলা দায়ের সাথে সাথে গত ১৮ জুন অভিযুক্ত ১নং আসামী গোপাল দেবনাথ কে থানা পুলিশ আটক করে। পরে শনিবার তাকে আদালতে হাজির করলে আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।

ঘটনার ব্যাপারে আহত গৃহবধূ অন্না রাণী নাথ বাদী হয়ে গত ১৮ জুন শুক্রবার মোগলাবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ১৪। মামলা অভিযুক্তরা হলেন- (১) গোপাল দেবনাথ (৩৫), পিতা- দিলীপ দেবনাথ, (২) বিমলা রাণী নাথ (৫৫), স্বামী- দিলীপ দেবনাথ, সর্বসাকিন পশ্চিম বাগ কুচাই, ডাকঘর- কদমতলী, থানা- মোগলাবাজার, জেলা- সিলেট।

মামলা সূত্রে জানা যায়- দক্ষিন সুরমার মোগলাবাজার এলাকার কুচাই ইউনিয়নের পশ্চিম বাগ গ্রামে দিলীপ দেবনাথের ছেলে ১নং বিবাদী গোপাল দেবনাথের সাথে প্রায় ৭ বছর আগে একই গ্রামের অরুণ চন্দ্র দেবনাথের মেয়ে বাদীনি অন্না রাণী নাথ সামাজিক ভাবে বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিয়ের বছর খানেক তাদের সংসার সুন্দর ভাবে চলছি।

এরপর কিছু দিন যেতে না যেতেই যৌতুকের জন্য গৃহবধূ অন্না রাণী নাথের উপর স্বামী-শ্বাশুড়ি মিলে নির্যাতন চালাতে থাকে। এভাবে মা ও ছেলে মিলে একের পর এক দাবী আদায় করতে থাকে। মেয়ের সুখের জন্য বর্তমানে সিলেটে অবস্থানরত পিতা তাদের অন্যায় দাবী পরিশোধ করেছেন। এক পর্যায়ে জমি বিক্রি করেও মেয়ের স্বামীকে টাকা দেন।

প্রায় প্রতি মাসে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা মেয়ের স্বামীকে দিয়ে আসছিলেন। তারপরও স্বামী-শ্বাশুড়ি এতে সন্তুষ্ট নয়। সর্বশেষ বিগত ৯ জুন বুধবার স্বামী-শ্বাশুড়ির ২ লক্ষ টাকার দাবী পূরণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় দু’ শিশু সন্তানকে আটকিয়ে রেখে বাদী অন্না রাণী নাথকে মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এসময় তাকে হুমকী দেয়া হয়, এখন টাকা নিয়ে আসলেও তাকে আর বাড়িতে ঢুকতে দেয়া হবে না।

অবশেষে নিরুপায় হয়ে বাদী আহত অবস্থায় অন্না রাণী নাথ পিত্রালয়ের উদ্দেশ্যে সিলেট নগরীর মেজরটিলায় এসে পৌছে। ভাই অনুপকে খোঁজ করার সময় তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। খবর পেয়ে বড় ভাই অনুপ দেবনাথ ঘটনাস্থলে পৌছে সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।

বিবাদী পক্ষের প্রভাত দেবনাথ (৩৩) ও নরেন্দ্র দেবনাথ (৩৫) ওসমানী মেডিকেল কলেজ গিয়ে প্রাণনাশে হুমকী দেয় এবং মেডিকেল রিপোর্ট ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। পরে বিবাদীগণ অন্না রাণী নাথের পিতার বাড়িতে গিয়েও হুমকী দিয়ে আসে। আসামী পক্ষের হুমকীর কারণে বাদী পক্ষের লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন।

সূূত্রঃ সাউথ সুরমা

শেয়ার করুন:

প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন

error: Content is protected !!